জেসমিনের মৃত্যু নিয়ে ১১ র‌্যাব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ

আগের সংবাদ

ঢাকায় নিয়ন্ত্রণহীন শব্দসন্ত্রাস : উপেক্ষিত হাইকোর্টের নির্দেশনা > কানে কম শোনেন ৫৬ ভাগ ট্রাফিক পুলিশ

পরের সংবাদ

সিরিজসেরা তাসকিন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন পেসাররা। ওয়ানডে সিরিজে ৫ উইকেট নেয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচে দল হারলেও পুরো সিরিজে দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে সিরিজসেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেন ৪ উইকেট। আর শেষ ম্যাচে গতকাল নেন ১ উইকেট। তার ইকোনমি ছিল ৭.১০। ম্যাচ শেষে সিরিজসেরা পুরস্কার নেয়ার পর তাসকিন বলেন, ‘আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। উইকেট ফ্ল্যাট হোক বা না হোক তাতে কিছু যায় আসে না। দিনশেষে আমি ভালো বল করেছি এবং দলকে সহায়তা করেছি। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। সেখান থেকে আমাদের বিশ্বাস আশা করছি বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের দল হয়ে উঠব।’
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ২০৭ রানের সংগ্রহ গড়ে টাইগাররা। বৃষ্টির কারণে খেলায় বিরতি পড়ে। এরপর খেলা ৮ ওভারে কমিয়ে এনে আইরিশদের টার্গেট দেয়া হয় ১০৪ রান। ইসিংসটিতে তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভারেই ৭ রান খরচে ৩ উইকেট তুলে আইরিশদের আটকাতে সহায়তা করেন। এরপর আরো একটি উইকেটের দেখা পান তিনি। প্রথম ম্যাচে ২ ওভার বল করে ১৬ রান খরচে ৪ উইকেট তুলেন। এরপর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের সঙ্গে ধ্বসিয়ে দেন আইরিশদের ব্যাটিং লাইন। ৪ ওভারে ২৭ রানে নেন ৩ উইকেট। শেষ ম্যাচেও প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গতির ঝড় তুলে সাদা বলের ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো সিরিজ সেরা হয়েছিলেন তাসকিন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সিরিজসেরা হলেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টিতে। তাসকিন ধারাবাহিকতা ধরে রেখে উড়ছেন। এর আগে ইংল্যান্ড সিরিজেও তাসকিন ছিলেন দুর্বার।
ডানহাতি এ পেসার টি-টোয়েন্টিতে ২০২২-২৩ মৌসুমে ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ২২ উইকেট। একই সময়ে ওয়ানডেতে ১৫ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ২৩ উইকেট। আর সব শেষ ৭ টেস্টে পেয়েছেন ১৯ উইকেট। সবমিলিয়ে ৫২টি টি-টোয়েন্টি খেলে তাসকিন উইকেট নিয়েছেন ৪৮টি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন আরো বলেন, ‘ম্যাচে হয়তো আমাদের ব্যাটিংয়ে ধস নেমেছে। এরকম ইন্টেন্ট না থাকলে কিন্তু দুইটা ম্যাচে ২০০ হতো না, এটা সত্যি কথা বুঝতে হবে। আমরা যদি আগামীতে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে চাই আমাদের এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে।
বোলার, ব্যাটার সবারই আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কিছু কিছু দিন হয়ত এরকম খেলতে গিয়ে ধ্বস নামবে। এটাও আমরা মেনে নিয়ে এগোবো। এমন না যে ভয়ডর নিয়ে থাকব। ভবিষ্যতে এটা আমাদের সাহায্য করব। ব্যর্থতার ভয়টাকে বাদ দিয়ে ক্রিকেট খেলা। এই অভিপ্রায় আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। ম্যাচে আরেকটু ভালো ব্যাটিং হয়তো করতে পারতাম আমরা, কারণ আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হয়নি। কিন্তু আমাদের সবার ইনটেন্ট এমন ছিল যে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলা, আক্রমণাত্মক খেলা। আসলে বাজে একটা দিন ছিল।’

টাইগার শিবিরের পেসাররা চলতি বছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে নিজেদের দাপট দেখিয়ে আসছেন। এর আগে আইরিশ ব্যাটাররা তাসকিনের এমন রূপ দেখেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে। ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশি পেসারদের জন্য ইতিহাসের সর্বোচ্চ সফল ম্যাচ। সেই ম্যাচে ১০ উইকেটের ১০টাই তুলেছিলেন পেসাররা। এর মধ্যে তাসকিনের তোপের মুখে বিদায় হন তিন ব্যাটার। রানরেটের চাপেও পড়েন তারা তাসকিনের বলেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়