১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ দীর্ঘদিন, চরম দুর্ভোগ : অভয়নগর

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস এম রফিকুল আলম, নওয়াপাড়া (যশোর) থেকে : অভয়নগর উপজেলার ২৪ কিলোমিটার সড়কের ১৬ কোটি টাকার নির্মাণ কাজ অর্ধেক করে ফেলে রাখা, কোথাও কোথাও কাজ শুরু না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। দুই বছরের বেশি সময় ধরে ফেলে রাখায় রাস্তায় ধুলাবালি সৃষ্টি হয়ে এবং খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে জনসাধারণের। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ধুলার কারণে রাস্তায় হাঁটা যায় না। ধুলার স্তর জমেছে শরীরে। ধুলার দূষণে বাড়ছে বায়ুদূষণ। ধুলাবালি থেকে বাঁচতে জনসাধারণ রাস্তায় পানি ছিটিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে জেআরআরআইডিপি এর আওতায় অভয়নগর উপজেলার বাস্তবায়নাধীন প্রেমবাগ বলারাবাদ থেকে প্রেমবাগ কমিউনিটি পর্যন্ত ৭৫০.৯৩৮ কিলোমিটার, একতারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পায়রা মহিমুনসির মোড় পর্যন্ত ১ হাজার মিটার, হিদিয়া মাদ্রাসা থেকে খড়রিয়া বাজার পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ মিটার, নাউলি বাজার হানড়গাড়িঘাট থেকে মধুর দোকান পর্যন্ত ৭৭০ মিটার- এই ৪টা প্যাকেজে ভাগ করে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কাজটি পায় ঝিনাইদহের কাঞ্চননগরের মোসার্স ইমন এন্টারপ্রাইজ। তিনি ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর কাজে হাত দেন এবং কিছু অংশের কাজ করে ফেলে রাখেন। এলজিইডির চাপে পরবর্তীতে কাজ শুরু করলেও ডব্লিউবিএম করে ফেলে রাখা হয়। কার্পেটিং না হওয়ায় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকে বার বার কাজ শেষ করার জন্য চাপ দিলেও ঠিকাদার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় ফেলে রাখায় রাস্তার খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ও প্রচণ্ড ধুলার কারণে যাত্রী সাধারণ ও দোকানদারদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। রাস্তার কাজের ধীরগতির বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আবু তালেব বলেন, আমি নিজে কাজ করছি না। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঠিকাদার জামাল উদ্দিন আমার লাইসেন্সে কাজ করছেন।
ঠিকাদার জামাল উদ্দিন বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি কাজ শুরু করব।
অন্যদিকে আইআরআইডিপির আওতায় বাস্তবায়নাধীন শুভড়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুভড়ারা ইউজেডআর রাস্তা ৯৫০ মিটারসহ ৩টি উন্নয়নমূলক কাজের ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ১০৭ টাকার কাজ পান যশোরের আরেক ঠিকাদার রবিউল ইসলাম। তিনি ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর কাজ শুরু করলেও দুবছরেও কার্পেটিং শেষ করতে পারেননি। রাস্তার খোয়া উঠে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ধুলাবালির কারণে রাস্তায় চলাচল করতে চরম বিপাকে পড়ছে জনসাধারণ।
প্রেমবাগ বলারাবাদ রাস্তার প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন কার্পেটিং না করে কাজ ফেলে রাখায় সড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ভাঙা সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
উপজেলা প্রকৌশলী এস এম ইয়াফি বলেন, কাজ শেষ করার জন্য বার বার চাপ দেয়া হচ্ছে, এমনকি চিঠি দিয়ে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। দ্রুত শুরু না করলে কাজ বাতিল করা হবে।
যশোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, আর্থিক সমস্যা ছিল। এখন আর কেউ কাজ ফেলে রাখবে না। কাজ সম্পন্ন করা না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়