১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

সুপ্রিম কোর্ট বারের নতুন নির্বাচনে কমিটি : বেআইনি ও অবৈধ বলছেন বর্তমান সম্পাদক

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ১৫-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনকে কলঙ্কজনক আখ্যায়িত করে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে এক তলবি সভায় এই ঘোষণা দেয়া হয়। সভায় আগামী ১৪ ও ১৫ জুন নির্বাচন আয়োজনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তবে এই কমিটিকে বেআইনি ও অবৈধ উল্লেখ করে আমলে নিচ্ছেন না একতরফা নির্বাচনে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল।
তলবি সভায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন আয়োজনের জন্য ১৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মো. নজরুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, ড. এম খালেদ আহমেদ, তৈমূর আলম খন্দকার, এস এম খালেকুজ্জামান, মির্জা আল মাহমুদ, মো. সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন, ড. শামসুল আলম ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।
এছাড়া একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন- সংবিধানপ্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এফ এম হাসান আরিফ, জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম কে রহমান ও আবু সাইদ সাগর।
১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রথম দিনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হন। এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি, হামলা ও মামলার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এই ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। একতরফা নির্বাচনে সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক আবদুন নুর দুলালসহ ১৪টি পদে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা জয়ী হন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ভেতরে ঢুকে পুলিশি হামলার ঘটনায় আইনজীবীসহ সারাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমলোচনার ঝড় ওঠে। এর মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে তলবি সভা করে আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।
সভায় সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ রেজুলেশন পাঠ করেন এবং এই রেজুলেশন সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। রেজুলেশনে বলা হয়- সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধু অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, গত ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ কারণে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী ফরম বিতরণ করে ১৫ মের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং ১৪ ও ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন এই কমিটিকে আমলে নিচ্ছেন না বলে জানান বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল। তিনি বলেন, যদি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কেউ তলবি সভা ডাকে, বারের সম্পাদককে প্রথম নোটিস দেয়ার নিয়ম। সম্পাদক যদি নির্দিষ্ট তারিখে মিটিং না ডাকে তাহলে নিজেরা সভা করতে পারে। কিন্তু সম্পাদক হিসেবে কোনো নোটিশ আমাকে দেয়া হয়নি। বারের অফিসও কোনো নোটিস গ্রহণ করেনি। তারা একত্রিত হয়ে কোনো নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা দিতে পারে, এমন কোনো আইন নেই। কমিটি করার এদের কোনো এখতিয়ার নেই। তাই এই কমিটি বেআইনি ও অবৈধ। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি যারা করেছে তারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বার নিয়ে তামাশা করছে এবং দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়