সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : সাঁথিয়ায় জলাতঙ্ক রোগে খবির উদ্দিন মোল্লা (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গত বুধবার রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত খবির উদ্দিন উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের পুরানচর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। গত ৩ মার্চ খবির মোল্লার শ্যালক একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে আব্দুল হাই একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে বাবলু জানান, প্রায় দেড় মাস আগে তার বাবাকে কুকুর কামড় দিয়েছিল। তিনি কোনো ভ্যাকসিন না নিয়ে উপজেলার ফেঁচুয়ান গ্রামে এক কবিরাজের চিকিৎসা নেন। বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ বোধ করায় গত ২৫ মার্চ রাতে তাকে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুই পা অবশ হয়ে যাওয়া, কিছুই খেতে না পারা, পানি দেখলে ভয় পাওয়া এবং অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ হওয়ার উপসর্গ দেখে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ২৭ মার্চ তাকে জলাতঙ্ক রোগী হিসেবে শনাক্ত করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মহাখালী হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে গত বুধবার রাতে স্বজনেরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। ওইদিন রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মাষ্টার জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে কবিরাজি চিকিৎসা করানো উচিত হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুকুর কামড়ালে কবিরাজি চিকিৎসা না নিয়ে কামড়ানোর পরপরই ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত প্রতিষেধক টিকা বা ভ্যাকসিন নিতে হবে।