১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

জাতিসংঘ সদর দপ্তর : একাত্তরে গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো বর্বরোচিত গণহত্যার ওপর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত বুধবার প্রদর্শনীটি জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে ২৭টি আলোকচিত্র সংগ্রহ করে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর এক বিস্তারিত উপাখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত এটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উদ্বোধনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এই প্রদর্শনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের মধ্যে গভীরভাবে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরো জোর প্রচেষ্টা চালানো দরকার। এই প্রদর্শনী কেবল গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে সহায়তা করবে না, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা ও অন্যান্য নৃশংস অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, এই প্রদর্শনী কেবল আমাদের ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে সহায়তা করবে না, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা এবং অন্যান্য নৃশংস অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবার মাঝে

সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২৫ মার্চের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের অভিপ্রায়ে নিউইয়র্কে এক দশক আগে গঠিত ‘জেনোসাইড’৭১ ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ কর বলেন, আমি মনে করি এটি খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। একাত্তরে বাংলাদেশে যে জেনোসাইড সংঘটিত হয়েছে তা বিশ্ব দরবারে পৌছে দিতে এ ধরনের প্রদর্শনীর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্ব নাগরিকেরা সহজেই অনুধাবনে সক্ষম হবেন কী ঘটেছিল একাত্তরে তদানীন্তন পূর্ব বাংলায়। ড. প্রদীপ কর উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অনেক আলোকচিত্রি শিল্পীর কাছে একাত্তরের জেনোসাইডের অনেক ভয়ংকর ছবি রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আরো বেশি প্রদর্শনী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে করা দরকার। বিশেষ করে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার দৃষ্টিগোচরের পাশাপাশি সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে পাক হায়েনাদের জঘন্য বর্বরতার সাথে পরিচিত করতেই চিত্র এবং ডক্যুমেন্ট প্রদর্শনীর আয়োজনের বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজ করছে সরকার।
এজন্য বিশ্বের ৮০টি দেশের স্বীকৃতি প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাত্তরের হত্যাযজ্ঞের প্রামাণ্যচিত্রগুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার স্বীকৃতি আদায়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়