বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

শুক্রবার চালু হচ্ছে পাসপোর্ট হেল্প লাইন ১৬৪৪৫

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : নাগরিকদের কাক্সিক্ষত পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিতে ও চলমান ভোগান্তি লাঘবে বিশেষ কল সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি)। এ জন্য বিটিআরসি থেকে একটি হেল্প লাইন নাম্বার বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার ৩১ মার্চ কল সেন্টারটি চালু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের অভ্যন্তরে ১৬৪৪৫ নাম্বারে এবং বিদেশ থেকে ০৯৬৬৬৭১৬৪৪৫ নাম্বারে কল করলে পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মিলবে। এতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি), মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) ও ই-পাসপোর্টের আবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পাবেন সেবাপ্রার্থীরা। কল সেন্টার খোলা থাকবে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা। তথ্য দেয়ার জন্য প্রতি শিফটে ১৬ জন কল সেন্টার প্রতিনিধি (এজেন্ট) মাইক্রোফোন হাতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবেন। সূত্র জানায়, পাসপোর্ট হেল্প লাইন প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে খরচ হচ্ছে ২১ কোটি টাকা। ৫ বছরের জন্য কল সেন্টার পরিচালনা করবে সিনোসিস আইটি লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ৩৩৩, স্বাস্থ্য বাতায়নসহ সরকারের বেশ কয়েকটি হেল্প লাইন পরিচালনা করছে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে পাসপোর্ট হেল্প লাইন পরিচালনার কাজ পায় সিনোসিস। রাজধানীর কারওরান বাজারে স্থাপিত সিনোসিসের কল সেন্টার থেকে হেল্প লাইন পরিচালিত হবে। এজন্য কোম্পানির ৪৭ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
জানা যায়, পাসপোর্ট হেল্প লাইন টোল ফ্রি সেবা নয়। হেল্প লাইনে কল

করলে সংশ্লিষ্ট টেলিফোন অপারেটর নির্ধারিত কলচার্জ প্রযোজ্য হবে। তবে সরাসরি কল ছাড়াও হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, মেসেঞ্জারসহ সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমেও তথ্য পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কল সেন্টারের মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা আরো সহজ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কল সেন্টারের সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার ভোরের কাগজকে বলেন, জনসাধারণের পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য ঘরে বসে পাওয়ার চাহিদার কথা বিবেচনা করে কল সেন্টার চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূলত এটা পাসপোর্ট সেবার গতিকে ত্বরান্বিত করবে। কেননা, জনসাধারণের কাছে সঠিক তথ্য না থাকার ফলে তারা বিভ্রান্ত হয়। আগামী ৩১ মার্চ বহুল কাক্সিক্ষত কল সেন্টার চালু করা হবে। এটি একদিকে যেমন পাসপোর্ট সেবা জনবান্ধব করতে সহায়তা করবে, অপরদিকে অধিদপ্তরের ভাবমূর্তিও বৃদ্ধি পাবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পাসপোর্ট কল সেন্টারের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ও অধিদপ্তরের সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূঞা ভোরের কাগজকে বলেন, কল সেন্টার চালু হলে পাসপোর্ট সেবায় নতুন পরিবর্তন আসবে। তার কারণ হলো, পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব তথ্য ঘরে বসেই মিলবে। ফলে পাসপোর্ট ঘিরে দালালচক্রের যে দৌরাত্ম্য রয়েছে, তা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। এমনকি এতে জন ভোগান্তিও কমবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়