বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

তাহিরপুরে এক ইউপি সদস্যের পরিবারে ৩ প্রকল্প : ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নে হাওড়ের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে দুর্নীতি যেন ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এমনকি কোনো ধরনের যাচাই বাছাই না করে শুধুমাত্র উৎকোচের বিনিময়ে একই পরিবারে ৩টি পিআইসির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ৭৬, ৭৭ ও ৭৮ নং পিআইসিতে।
জানা যায়, তিনটি প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক টাকা তোলা হলেও সে অনুপাতে বাঁধের কাজ হয়নি। দায়সারাভাবে কাজ করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনটি পিআইসির মধ্যে ৭৮নং পিআইসির সভাপতি ইউপি সদস্য দ্বীন ইসলাম রাজু। ৭৭নং পিআইসির সদস্য সচিব তার ছোট ভাই রমজান আলী এবং ৭৬নং পিআইসির সভাপতি ভগ্নিপতি সাজিদ মিয়া এবং সদস্য সচিব স্ত্রীর বড় ভাই আরিজ মিয়া।
সম্প্রতি ফসলরক্ষা বাঁধে এমন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকার ৩২ জন নাগরিক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭৬, ৭৭ ও ৭৮নং পিআইসির (ফসলরক্ষা বাঁধ) কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ইউপি সদস্য দ্বীন ইসলাম রাজু কোনো পিআইসির কাজই শতভাগ সম্পন্ন করেননি। অথচ পাউবো কর্মকর্তাদের পার্সেন্টিজ দিয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বিল পকেটস্থ করেছেন। এছাড়া ৩টি পিআইসির মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭০ লাখ ৪৯ হাজার ১১৭ টাকা। এর মধ্যে ৩টি পিআইসিতে তিনি মাত্র ২৫ লাখ টাকার কাজ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উৎকোচ নিয়ে দ্বীন ইসলামের পরিবারের মধ্যে ৩টি পিআইসি অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়াও নিয়ম ভঙ্গ করে ৩টি পিআইসিতে মাত্র একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ১ জন শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দ্বীন ইসলাম বলেন, আমি ও আত্মীয়স্বজনরা ৮টি আবেদন করেছি। ৭৭নং পিআইসিতে সদস্য সচিব হিসেবে আমার ছোট ভাই রমজান আলী এবং ৭৬নং পিআইসির সদস্য সচিব হিসেবে আমার স্ত্রীর বড়ভাই আরিজ মিয়াকে রেখেছেন ইউএনও। পিআইসির কাজে দুর্বা ঘাস নয়, বস্তা ফেলে বাকি কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা ভোরের কাগজকে বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধ ও পিআইসির কাজে কমবেশী অনেক অভিযোগ রয়েছে। এসবের প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছি। ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়মকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। পাউবো সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়