বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে গেছে বিএনপি নেতাদের

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্য শতাব্দীর সেরা কৌতুক শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের চরম বিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা এমন অসংলগ্ন প্রলাপ বকছেন। মনে হয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাদের বিবেকবুদ্ধিই শুধু হারায়নি, চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব জবাব দেন তিনি। বিবৃতিটিতে স্বাক্ষর করেন দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে। মির্জা ফখরুলের এ ধরনের অশালীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বরং ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকেও অপমানিত করেছে। একই সঙ্গে জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য জাতির অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হেনেছে। আমরা মির্জা ফখরুলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কাদের বলেন, দেশের মানুষ আ.লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান। পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে যে নীতি-আদর্শ শক্তি ও প্রেরণা জুগিয়েছে, তা এ রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। তিনি বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে আদর্শগতভাবে এ রাষ্ট্রের জন্মের মূল চেতনাবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। মির্জা ফখরুল কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম। তাদের পাকিস্তানপ্রীতি নতুন কোনো বিষয় নয়। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বাংলাদেশকে পরিচালিত করেছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে সা¤প্রদায়িক রাজনীতির ধারাকে পরিপুষ্ট করেছিল। খালেদা জিয়াও একইভাবে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে রাষ্ট্র চালিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি আইএসআই থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছিল- এমন খবর কয়েক বছর আগে সে দেশের আদালতে সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জেনারেল আসিফ নাওয়াজ জানজুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া শোকবার্তা পাঠিয়ে জাতির ঐতিহাসিক সংগ্রামের চেতনার মূলভিত্তিতে আঘাত করেছিল। বিএনপি চেতনা ও মননে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তার প্রতিভূ পাকিস্তানকে ধারণ করে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, এমনকি মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের গণমাধ্যমেও বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে পাকিস্তানি দর্শনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয় বিএনপি; যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এখনো মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। এটা তাদের মানসিক দৈন্য। যখন দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে, তখনো বিএনপি স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশবাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়