বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু : পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নওগাঁ শহর থেকে আটকের পর র‌্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সুলতানা জেসমিন র‌্যাবের কোনো কর্মকর্তার অধীনে ছিলেন, তাদের নামের তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন এডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামে ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। এর আগে গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে ওই নারীকে আটক করে র‌্যাব। সুলতানা জেসমিন সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
স্থানীয় ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়- গত বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হন সুলতানা জেসমিন। পথে সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে পৌঁছালে সাদা রঙের মাইক্রোবাসযোগে এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায় র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের প্রায় ২ ঘণ্টা পর দুপুরে সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে র‌্যাব। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
সুলতানা জেসমিনের মামা নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, আমার ভাগ্নি অফিসে যাওয়ার জন্য বের হলে রাস্তা থেকে র‌্যাব তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে তাকে কোথায় নেয়া হয়েছিল তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। দুপুরে ভাগ্নির মোবাইল ফোন থেকে আমাদের নাতি সৈকতকে কল করে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে আসতে বলে র‌্যাব। বিষয়টি জানার পর দুপুর ২টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখি, ভাগ্নিকে স্যালাইন দেয়া অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। পাশেই র‌্যাবের সদস্যরা ছিল। সুলতানা কথা বলতে পারছিল না। পরে তার অবস্থা গুরুতর হলে সন্ধ্যায় তাকে রামেকে নেয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে সুলতানার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, সুলতানা শুক্রবার মারা গেলেও ওইদিন রামেকে তার পোস্টমর্টেম হয়নি। এজন্য পরদিন র‌্যাব তার পোস্টমর্টেম করে আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। আমার ভাগ্নির মরদেহ দাফন হওয়া পর্যন্ত র‌্যাব প্রকাশ্যে এবং গোপনে আমাদের চারদিকে অবস্থান করেছিল। সুলতানাকে সকালে তুলে নেয় আর দুপুরেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাই ভেতরে একটা সন্দেহ থেকেই যায়। এ সময়ের মধ্যে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়ে থাকতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়