বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

আফগানদের কাছে পাত্তা পেল না পাকিস্তান

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত ২৪ মার্চ মাঠে গড়ায় পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ধরাসায়ী হয় পাকিস্তান। ম্যাচটিতে ৬ উইকেটের পরাজয়ের গøানি নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। এর পরের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় গত ২৬ মার্চ। সেই ম্যাচেও আফগানদের কাছে পাত্তা পাননি পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ৭ উইকেটে ম্যাচ পরজয়ের সঙ্গে তারা ২-০ ব্যবধানে সিরিজও হাতছাড়া করে।
ম্যাচে জয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথমে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন পাকিস্তানি ওপনার সাইম আইয়ুব এবং মোহাম্মদ হারিস। তাদের ধীরে সুস্থে করা ব্যাটিংয়ে ভালো একটা শুরুই পায় পাকিস্তান। তবে বিপত্তি ঘটে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। আফগান বোলার ফজল হক ফারুকির বলে আজমাতউল্লাহর হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন ১১ বলে ৬ রান করা হারিস। প্রথম বেকথ্রুর পরই রানের গতি থেমে যায় তাদের। ব্যাটিংয়ে নেমে বাবর-রিজওয়ানদের অভাব হারেহারে টের পান পাকিস্তানিরা। চতুর্থ ওভারেই আরেক ব্যাটার শফিক বিদায় নেন আজমতউল্লাহর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। রানের খাতা খুলতেই পারেননি এই ব্যাটার। এরপর অবস্থান একটু শক্ত করার চেষ্টা করেন পাকিস্তানি ওপেনার আইয়ুব। তবে ষষ্ঠ ওভারে তিনিও নাভিন-উল-হকের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। একদিকে অবস্থান শক্ত করে রান বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন তৈয়ব তাহির। আরেকদিকে ধারাবাহিভাবে বিদায় নিচ্ছিলেন ব্যাটাররা। এমন উইকেট পতনের মিছিলে ও রান রেটের চাপে ২০ ওভার খেলে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯২।
৯৩ রানের তাড়ায় মাঠে নেমে রান চাপে ভোগেন আফগান ব্যাটাররাও। আফগানিস্তানের প্রথম ৫ ব্যাটারের কেউই ২০ রানের কোটা ছোঁতে পারেননি। এরপর দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নবী। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই জয় পর্যন্ত পৌঁছে যায় দলটি। আঠারোতম ওভারে ইহসানুল্লাহ একটি ওয়াইড বল দিয়ে ম্যাচের সমতা আনেন।
পরের বলেই একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের জয় নিশ্চিত করেন নবী। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতমে ব্যাটিংয়ে নেমে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ১৩০ রানের সংগ্রহ গড়ে জয়ে ফেরার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন তারা। পাকিস্তানিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। ১৩১ রানের তাড়ায় এবার শুরুটা ভালোভাবেই করেন আফগানরা। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুবরাজ ৪৯ বলে স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন। তবে আরেক ওপেনার উসমান গনী ফিরেন ব্যর্থতা নিয়েই। তিনে ও চারে নামা ব্যাটা ইব্রাহীম জর্দান ও নাজিবুল্লাহ জর্দান দাপট দেখিয়ে ম্যাচে জয় তুলে নেয়া সহজ করে দেন। ১৮তম ওভারে ৪০ বলে ৩৮ রানের ইনিংস গড়ে বিদায় নেন ইব্রাহীম। বাকি কাজটা করেন আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক মোহাম্মদ নাবী। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে জয় নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে আফগান ক্রিকেটাররা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়