১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছায় সাকিব তামিমদের বার্তা

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গতকাল ছিল ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল হাজারো মুক্তিকামী মানুষ। এরপর থেকে এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে কোটি কোটি বাঙালি। গতকাল ভোরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা। বাদ যাননি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকারা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান সাকিব-তামিমরা। এছাড়া শুভেচ্ছা জানায় পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বর্তমান ক্লাব আল নাসর।
টাইগারদের টি- টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসন শুভেচ্ছা জানান নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। তিনি লিখেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! আমাদের মহান সংগ্রামী স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী। একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে সআমরা একটি রোল মডেল জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি এবং গত পাঁচ দশকে অনেক দূর এগিয়েছি। একটি স্বাধীন জাতি নিশ্চিত করার জন্য চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকারকারী শহীদদের স্মরণে আজ আমাদের সঙ্গে যোগ দিন এবং আসুন আমরা সবাই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য আরো প্রতিশ্রæতিশীল ভবিষ্যতের দিকে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি।’
অন্যদিকে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল লিখেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবস। সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। টাইগারদের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা লিখেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।’ দেশের জার্সিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা মুশফিকুর রহিম লিখেন, ‘সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।’
এদিকে বাংলাদেশ দলের সেরা পেস বোলার তাসকিন আহমেদ এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! এই দিনে, আসুন আমরা সবাই মিলে স্বাধীনতার চেতনা উদযাপন করি এবং বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করি।
আমরা যেন আমাদের সব নাগরিকের জন্য স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং সমতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারি।’ টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস লিখেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা আমাদের বীরদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করছি। আসুন আমরা আজ যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা উদযাপন করি এবং আগামীকালের জন্য একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করি।’

টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লিখেন, ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে যখন দেশের সার্বভৌমত্ব বিপর্যয়ের মুখে, সেসময় দেশমাতৃকার প্রয়োজনে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের পরোয়া না করেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশের স্বার্থে। স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সকল জীবিত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের। তাদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছি একটি দেশ, একটি পতাকা।’
বাংলাদেশ দলের তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় লিখেন, ‘২৬ মার্চ। পুরো জাতি ব্যাপক আনন্দের সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করছে। আমাদের হৃদয় আনন্দে উদ্বেলিত। আনন্দ প্রকাশের ভাষা আমাদের নেই। যাদের কল্যাণে আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছি তাদের প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শুভেচ্ছা।’
অন্যদিকে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দেয়ার পর রোনালদো ভক্তরা ক্লাবটির খোঁজখবর রাখতে শুরু করে। ক্লাবটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে গতকাল শুভেচ্ছা জানায়। ক্লাবটি তাদের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম পেজে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার রং দিয়ে একটি ছবি বানিয়ে লিখে, ‘বাংলাদেশ, স্বাধীনতা দিবস ২৬.০৩.২৩।’ এরপর ক্যাপশনে লিখে, ‘শুভ স্বাধীনতা দিবস, বাংলাদেশ।’
বাঙ্গালী জতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্রীড়াক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছেন। ১৯৩৭ সালে এই মহানায়কের নিজ উদ্যোগে গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে ফুটবল ও ভলিবল দল গঠিত হয়। কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় অ্যারিয়ান্স ও মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পেলেও দেশে ফিরে আসায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল তার। ১৯৪০ সালের গোড়ার দিকে যুবক বয়সে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের হয়ে ফুটবলের মাঠ মাতান বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৩-৪৪ সালে তার নেতৃত্বে বগুড়ায় একটি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়ান্ডারার্স। বঙ্গবন্ধুর কারণেই ‘স্বাধীন বাংলা’ ফুটবল দল গঠিত হয় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ ফুটবল দলের ভূমিকা আজও চিরস্মরণীয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের ফুটবলকে বিশ্ব কাতারে নিয়ে যেতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু। শুধু ফুটবলই নয়, দেশের অন্যান্য খেলার প্রতিও তিনি বেশ সচেতন ছিলেন। এজন্য একই বছরে তার উদ্যোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড গঠিত হয়। যার বর্তমান রূপ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরপর ১৯৭২ সালেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার বর্তমান নাম ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ’। দেশের ক্রীড়া সংস্থাকে এগিয়ে নিতে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ স্পোটর্স কাউন্সিল অ্যাক্ট পাশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যে সাফল্য, তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়