১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

মধ্যনগরে প্রভাবশালীদের দখলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জায়গা : উদ্ধার করে কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবি

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : মধ্যনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পরিত্যাক্ত অফিসঘর থাকলেও কিছু জায়গা দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। মধ্যনগর উপজেলায় মোট ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধার মাঝে জীবিত আছেন ১৭ জন। এখন ভাঙা ঘরেই চলছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম। তাদের জীবনের সুখদুঃখের স্মৃতি ভাগাভাগি আর অবসরের আড্ডা চলে এখানেই। মুক্তিযোদ্ধারা পুরো জায়গা দখলমুক্ত করে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। আর ১১নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল আবু তাহের। তিনি যুদ্ধে আহত হওয়ার পর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল্লাহ খান। ১১নং সেক্টরের ১নং সাব সেক্টর ছিল মহেষখলা। মধ্যনগর উপজেলার মহেষখলা ১নং সাব-সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এমপি মরহুম আব্দুল হেকিম চৌধুরী ও মরহুম ডা. আখলাখ হোসাইন। মহেষখলা স্থানটি সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলায় অবস্থিত। যা ভারত সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের পাদদেশে। উত্তরে পাহাড় বা বর্ডার এবং দক্ষিণে বিশাল হাওড় বেষ্টিত থাকায় এই মহেষখলা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নিরাপদ ট্র্রেনিং সেন্টার। ভৌগোলিকভাবে চারটি ইউনিয়ন নিয়ে মধ্যনগর উপজেলা গঠিত। সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, জামালপুরের মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং নিত এই মহেষখলায়। ট্রেনিং নিয়ে দেশ মাতৃকার টানে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে ছিল জাতির এই সূর্যসন্তানরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবি, মধ্যনগরের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হোক। আজ আমরা মধ্যনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা ভাঙা ঘরে বা ঝুপড়ি ঘরে সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করছি। স্থানীয় এমপি আমাদের কার্যালয়টি মেরামতের জন্য টাকা দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন, যা এখনো পাইনি। তিনি আরো বলেন, কমপ্লেক্স হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ঘর মেরামত করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি এলে পানি পড়ে। এখানে সাড়ে তিন শতাংশ জায়গার মধ্যে এক-শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল যা মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। এই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়টি মেরামত এবং সীমানা প্রাচীর না দিলে পুরো অংশই বেদখল হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, মধ্যনগরে একটি মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স স্থাপন করা হোক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদা আহমেদ বলেন, বড় পরিতাপের বিষয় আজও জাতির এই সূর্যসন্তানরা ভাঙাচোরা ঘরে বসে তাদের সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনা করছেন।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। মধ্যনগর নতুন উপজেলা হওয়ায় কমপ্লেক্স নির্মাণে একটু সময়ের প্রয়োজন। এই জায়গাটি এসিল্যান্ডকে নিয়ে ডিমারগেশন করে চিহ্নিত করব। আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গা দখলের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়