১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সারাদেশে গতকাল রবিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বাঙালি জাতির স্মরণীয় এইদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। এছাড়া শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
রংপুর : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম। এতে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
এর আগে প্রত্যুষে নগরীর মডার্ন মোড়ের অর্জন, ডিসি মোড়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও সুরভি উদ্যানের শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার ছাড়াও সিটি করপোরেশনের মেয় মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. আব্দুল আলীম মাহমুদ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন বাবলুসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধান বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সিটি করপোরেশন হলরুমে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞার সভাপতিত্বে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ। বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বরিশাল : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা পুলিশ লাইনসে ৩১ বার তোপধ্বনী এবং সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আমীন-উল আহসান। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সীমিত পরিসরে কুচকাওয়াজ এবং শরীর চর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কীর্তনখোলা নদীর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নৌবাহিনীর জাহাজ প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় নগরীর ওয়াপদা কলোনীর স্মৃতি-৭১ নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমিতে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনও ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বেলা ১১টায় সদর রোডে শোভাযাত্রা করে বিএনপি। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বিকালে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেয়া হয়।
পাবনা : দিবসের প্রথম প্রহরে সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘দুর্জয় পাবনা’য় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। সকাল ৭টায় দুর্জয় পাবনায় পাবনা জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, পাবনা পৌরসভা, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা মেডিকেল কলেজ, সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, হাজী জসীম উদ্দিন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কবিতা আবৃত্তি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেনের সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুল রহিম পাকন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান প্রমুখ।
ঠাকুরগাঁও : ভোরে অপরাজেয়-৭১ প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালা। এ সময় শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন আ.লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। পৌর শহরের আর্ট গ্যালারিতে অবস্থিত অপরাজেয়-৭১ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, আ.লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। পরে অপরাজেয়-৭১ প্রাঙ্গণ থেকে শহীদ মোহাম্মদ আলীর স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আ.লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। পাশাপাশি পৌর শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী, নরেশ চৌহান, মুজিববর্ষ চত্বর, ডিসি পর্যটন পার্কের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী : রাজশাহীতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।
সকালে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনাসভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, আরএমপির কমিশনার মো. আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
গোপালগঞ্জ : সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে স্বাধীনতা ও বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অঙ্গ সংগঠন পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা জানায়। এরপর শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান, পৌর মেয়র শেখ রাকিব হোসেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী, জেলার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে (জয় বাংলা পুকুর পাড়ে) পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংর্বধনা অনুুষ্ঠিত হয়।
নাটোর : ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। শহরের মাদ্রাসা মোড়ে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গ স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু ও মালেক শেখ প্রমুখ। সকাল ৮টায় শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান। সিংড়া শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অন্যান্য উপজেলাতেও যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
নোয়াখালী : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ, নোয়াখালী প্রেস ক্লাব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিআরটিসিসহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বাধীনতার সুফল তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যব্ধ হয়ে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ। এছাড়া সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত পরিবেশন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সিনিয়র সহসভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীন, নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিথুন ভট্ট, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস জাহের, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান নাছের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া : সকাল ৬টায় কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সব সরকারি কর্মকর্তা শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এ সময় পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। এর পর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্টিত হয়। এর পর সকাল ৮টায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুল মাঠে পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃংলাবাহিনীর অংশগ্রহনে জাতীয় পতাকাকে সালাম প্রদান ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে সাড়ে ৭টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু মুর‌্যালে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। পরে সদর উপজেলার দুর্বাচারায় ৮ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবরে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ৩টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জেলা কালেক্টরেট চত্বরে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, এনজিও সংগঠনের উদ্যোগে পৃথকভাবে শহীদের বেদীতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
গাইবান্ধা : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির শুরু হয়। একই সময়ে পৌরপার্কে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির পক্ষে বিজয় শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মণ্ডল পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। একই সময়ে সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় স্থানীয় শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন। সে সময় বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিকালে শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামের সুলতানা কামাল ইনডোর বলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা হয়।
নড়াইল : প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সুচনা করা হয়। পরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, গণকবর, বধ্যভূমি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও চেতনা চত্বর এবং বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, নড়াইল পৌরসভা, নড়াইল প্রেস ক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহম্মদ স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সংবর্ধনা, খেলাধুলা প্রতিযোগিতা, জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, এতিমখানা, জেলখানা, হাসপাতালে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, মসজিদ, মন্দির, গির্জায় প্রার্থনা ইত্যাদি।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগ, নড়াইলের উপপরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাশ্বতী শীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নরসিংদী : প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনি মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। ভোরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান বশিরুল ইসলাম, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি নিবারণ রায় ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম সরকার, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর রঞ্জিত কুমার সাহাসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরপ্রধান ও বিভিন্ন সংগঠন।
সকাল ৮টায় নরসিংদী মুছলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক আবু নাইম মোহাম্মদ মারুফ খান। এ সময় পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
নীলফামারী : প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা অ¤øান স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। এরপর পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম আমিনুল হকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর একে একে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। সকাল ৮টায় নীলফামারী বড় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর পুলিশ, আনসার-ভিডিপি স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠনের কুচকাওয়াজ ও শারিরীক কসরত প্রদর্শণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ শিক্ষার্থী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মসজিদ, মন্দির গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চগড় : প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়ে পরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সমাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের আত্মার শান্তি ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। একই সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও বিএনসিসির কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম সালাম গ্রহণ করেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলা কারাগার, শিশু নিবাসে বিশেষ ইফতার ও খাবার বিতরণ করা হয়। দুপুরে করতোয়া কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ভলিবল ও হা-ডু-ডু ম্যাচ এবং মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম প্রবীণ হিতৈষী সংঘ একাদশের মধ্যে প্রীতি ভলিবল ও হা-ডু-ডু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
দুমকি (পটুয়াখালী) : সকাল ৯টার উপজেলা পরিষদের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তলোন, কুচকাওয়াজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, দোয়া মোনাজাতসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হয়েছে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রভোস্ট কাউন্সিল, শিক্ষক সমিতি, পবিপ্রবি ছাত্রলীগ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
বাকৃবি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) লাল-সবুজ পোশাক পরিধান, পুষ্পাঞ্জলি অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি। সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যালয়, আবাসিক হল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মরণসাগর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য আধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মরণসাগর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় প্রক্টর, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত স্কুল কলেজের শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনী শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
নকলা (শেরপুর) : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির পরে সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌরসভা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে শহরের উত্তর বাজারস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, পুলিশ ও আনসার ভিডিপি সদস্যদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছা. আম্বিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গাবতলী (বগুড়া) : গাবতলীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও চারা গাছ বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান। স্থানীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্ব তছলিম উদ্দিন তরফদার ডিগ্রি কলেজ, সভাপতি দুলাল করিম ও প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়, সাংবাদিক মুহাম্মাদ আবু মুসা ও প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০নং সরধনকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক দল, নানা প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করেছে।
গলাচিপা (পটুয়াখালী) : গলাচিপায় দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া, মোনাজাত, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ভোরে গলাচিপা থানা প্রাঙ্গণ থেকে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা করা হয়। ওই দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি,স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে ৫টা ৫৭ মিনিটে গলাচিপা কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা প্রশাসন, গলাচিপা থানা, পৌরসভা, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, গলাচিপা প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। এর পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।
হোমনা (কুমিল্লা) : দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সকাল ৮টায় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার গাইডদের কুচকাওয়াজ ও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ছড়া পাঠ, কবিতা পাঠ, চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় বিজীয় শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। সকাল ১০টায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষেমালিকা চাকমা। বক্তব্য দেন এসিল্যান্ড ইউছুফ হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহাসিন সরকার ও নাছিমা আক্তার রিনা, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র বর্মণ।
মহম্মদপুর (মাগুরা) : উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত ও সংবর্ধনা এবং পুরস্কার বিতরণীসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে দিবসটি পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৭টায় উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ নানা সামাজিক প্রতিষ্ঠান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।
সকাল ৮টায় উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, স্কাউটস, রোভার, গার্লস গাইডের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি, নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল ও মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় সালাম গ্রহণ করেন।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) : ভোরে মির্জাপুর থানাপ্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে মির্জাপুর উপজেলা কমপ্লেক্সে নবনির্মিত স্মৃতিসৌধ ‘অর্জন’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, মির্জাপুর থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। সকাল ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য খান আহম্মেদ শুভ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান।
বেলা ১১টায় শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজে শপথ পাঠ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসির সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও শিশু সংগঠনের সদস্যদের অংশগ্রহণে শরীরচর্চা প্রদর্শনী, মাকালকান্দি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ক্রীড়ানুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ। প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান।
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) : দিবসটি পালনে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
প্রত্যুষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। সকাল ৭টায় উপজেলা পরিষদ নতুন কমপ্লেক্স ভবন প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শরীফুল আলম তানভীরের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সিরাজদিখান-টঙ্গীবাড়ী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত ও ওসি মিজানুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ, সিরাজদিখান উপজেলা প্রেস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৮টায় সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রদর্শন, ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বেলা ৪টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়