১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

টেকনাফে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণে ৩ যুবকের মুক্তি

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার (দক্ষিণ) থেকে : টেকনাফে পাহাড়ি দুর্বৃত্তের কবল থেকে ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র আবদুল আজিজকে রক্ষা করেছেন তার সাহসী বাবা মোহাম্মদ হোছন। অপর এক অপহরণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণে ৩ যুবককে মুক্তি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
দমদমিয়া এলাকার ৩ যুবক রিদুয়ান সবুজ, মোস্তফা ও রহমত উল্লাহকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণে গতকাল রবিবার বিকাল ৩টার দিকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদের ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের শরীরে মারধরের জখম রয়েছে। এর আগে তাদের কাছে জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চেয়েছিল দুর্বৃত্তরা। গত ২২ মার্চ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া ন্যাচার পার্ক এলাকায় ৩ জন যুবককে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
এছাড়া গত ২৩ মার্চ রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদ হোছনের বাড়িতে অপহরণ প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ হোছন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,

প্রতিদিনের মতো মাগরিবের পর থেকে পড়ার টেবিলে স্কুলের পড়া শিখছিল আব্দুল আজিজ। পড়া শেষ করে রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির উঠানে বের হলে হঠাৎ মুখে কালো কাপড় পরা সশস্ত্র ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত তাকে ধরে ফেলে। এ সময় তার চিৎকারে বাবা হোছন ঘর থেকে দ্রুত বের হলে তাকেও ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু সাহসী হোছন সুকৌশলে দুজন দুর্বৃত্তের লম্বা বন্দুক ধরে টান দিলে ছেলে আজিজকে ছেড়ে দেয় এবং আজিজ দৌড়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। এ সময় অপর দুর্বৃত্তের বন্দুকের আঘাতে আজিজের হাত ভেঙে যায়। এদিকে দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও তাদের বাড়ির সবার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তের দল হোছনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং একপর্যায়ে তাকে ফেলে পাহাড়ের দিকে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
এলাকাবাসী আরো জানায়, ১৫-২০ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল পাহাড়ে অবস্থান করছে দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।
পবিত্র রমজান মাসে অপহরণ আতঙ্কে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ায় রবিবার স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আলী স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এ সময় তিনি সম্মিলিতভাবে দুর্বৃত্তের মোকাবিলা করার সাহস জোগান এবং রাতে পাহারা দেয়ার জন্য ৪টি দলে বিভক্ত করে পাহারা দল গঠন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়