প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

মেহেরপুর : ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় পিতাপুত্রের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন হত্যা মামলায় পিতা মালেক জোয়ার্দার (৬০) ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ২৫ মে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন ষোলটাকা গ্রামের কফিল উদ্দিনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। পরে মালেকের নির্দেশে রাফাতুল ইসলামকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনা শুনে তৎকালীন ইউপি সদস্য রাফাতুল ইসলামের ভাতিজা কামাল হোসেন জোড়পুকুরিয়া থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। কামাল হোসেন আসামি মালেকের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছালে আব্দুল মালেকের নির্দেশে ইউপি সদস্যকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন, আব্দুল মালেক,সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস,আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শহিদুল ইসলাম শেখ প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি আলমগীর হোসেন এবং আব্দুল মালেক দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মামলার অপর আসামি সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস,আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়