প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ : দেশে প্রতি মিনিটে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় একজন

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : য²ার উচ্চ ঝুঁঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। ভারত-পাকিস্তানসহ উচ্চ ঝুঁঁকিপূর্ণ ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এসব দেশে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ য²া রোগী রয়েছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাতীয় য²া নির্মূল কর্মসূচির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে প্রতি মিনিটে অন্তত একজন লোক য²ায় আক্রান্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় য²া নির্মূল কার্যক্রমের কারণে রোগী সুস্থ হওয়ার হার ৯৫ শতাংশ।
জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে য²ার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৯ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ১০ বছরে প্রায় ২২ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এতে নতুন করে ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩১ জন য²া রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭৪ হাজার ৯৪৫ জন। চট্টগ্রামে ৪৮ হাজার ৯৩৮ জন, খুলনায় ২৭ হাজার ১১৭ জন, রংপুরে ২৬ হাজার ৮২৮ জন, রাজশাহীতে ২৯ হাজার ৩৩৫ জন, সিলেটে ২২ হাজার ২০৭ জন, বরিশালে ১৬ হাজার ৪৯১ জন এবং ময়মনসিংহে ১৮ হাজার ৬৬০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে গত ২০১২ থেকে ২০২১ পর্যন্ত (৯ বছরে) সময়ে জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং সহযোগী সংস্থাগুলোর তৎপরতায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। য²া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ওষুধপ্রতিরোধী য²ার পরিসেবাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে য²াবিষয়ক স্বাস্থ্যসেবা জনসাধারণের হাতের নাগালে পৌঁছে দেয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে য²া রোগী শনাক্তের হার প্রায় ৮০ শতাংশ। বাকিরা ২০ শতাংশ রোগী শনাক্তের বাইরেই থাকছে। সচেতনতা ও যথাসময়ে চিকিৎসা না নেয়ায় প্রতিদিন দেশে প্রায় একশজন য²া রোগী মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
য²ার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোগী শনাক্তকরণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রোগের চিকিৎসা এবং ওষুধসহ সবকিছু বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে এই সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। অনেকে য²ার লক্ষণ থাকলেও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে রোগটি লুকিয়ে রাখে। এ কারণে রোগটি শতভাগ নির্মূল করা যাচ্ছে না। সবাই এগিয়ে এলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই য²া নির্মূল সম্ভব হবে।
এই প্রেক্ষাপটে আজ ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব য²া দিবস। ১৮৮২ সালের এদিনে ড. রবার্ট কোচ য²ার জীবাণু আবিষ্কার ও এ রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে য²া দিবস পালিত হয়ে থাকে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘হ্যাঁ! আমরা য²া নির্মূল করতে পারি’।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়