প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

অবশেষে ছন্দে ফিরলেন তামিম

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দীর্ঘ সময় ধরে রান খরায় ভুগছিলেন টাইগারদের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। একের পর এক ম্যাচে সেট হওয়ার চেষ্টা করেও অপ্রত্যাশিতভাবে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। বছরের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনোরকমে বিশের কোটা পেরিয়েই তিনি মাঠ ছাড়েন। আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দেখা গিয়েছিল এক ব্যর্থ অধিনায়ককে। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৩ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ২৩ রান। অবশেষে আইরিশদের বিপক্ষে গতকাল সিরিজ জয়ের ম্যাচে চেনা ছন্দে ফিরে এলেন বাংলাদেশের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ম্যাচটিতে তিনি ৪১ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় পর্যন্ত পৌঁছাতে ভালো অবদান রাখেন। ইনিংসটি গড়তে তিনি ৫টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কা হাঁকান। তার ছন্দে ফেরার দিনে আইরিশদের বিপক্ষে দশ উইকেটের বড় জয় নিয়ে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
ছন্দে ফেরার সঙ্গে তামিম স্পর্শ করেছেন একটি মাইলফলকও। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি বা সেঞ্চুরি পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারলেও তামিম নাম তোলেন ১৫ হাজারি ক্লাবে। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার তার ধারেকাছেও নেই।
১৩ হাজারের ওপর রান আছে কেবল সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের। ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার দিনেও জ¦লে উঠতে গিয়ে নিভে যান তামিম। ব্যক্তিগত ২৩ রানের সংগ্রহেই সেদিন আটকে যায় তার ইনিংস। ছন্দে ফেরার ম্যাচে গতকাল প্রথম থেকেই মারমুখী খেলা দেখান তিনি। ইনিংসের প্রথম বল ডিফেন্স করার পর দ্বিতীয় বলেই হাঁকান বাউন্ডারি। তৃতীয় ওভারে স্ট্রাইকে ফিরে মার্ক অ্যাডেইরের বলে ফের দুটি চার মেরে রানের গতি বজায় রাখেন তিনি। এরপর ম্যাথিওর বল ওড়ান ছক্কায়। ধৈর্য ও আক্রমণের সংমিশ্রণে দলকে সিরিজ জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকে তামিম-লিটন জুটি। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় রানের গতি থেমে থাকে আইরিশ বোলারদের চাপে। তবে সেই জড়তাও তামিম কাটিয়ে দেন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ছক্কা দিয়ে। শেষ পর্যন্ত তার ৪১ বলে ৪১ রানের ইনিংসের সঙ্গে লিটন দাসের ৩৮ বলে ৫০ রানের ইনিংসে দশ উইকেট এবং ২২১ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

তামিম ইকবাল প্রায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৬৯ টেস্ট খেলে ১০ সেঞ্চুরি ও ৩১ হাফসেঞ্চুরিতে ৫ হাজার ৮২, ওয়ানডেতে ২৩৭ ম্যাচে ১৪ সেঞ্চুরি ও ৫৫ হাফসেঞ্চুরিতে ৮ হাজার ২১০ ও ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে এক সেঞ্চুরিসহ এক হাজার ৭৫৮ রান করেছেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে তার পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মুশফিকুর রহিমের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ হাজার ৭৬৬ রান করেছেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের আগে আরো ৩৯ জন ব্যাটার ১৫ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন। তামিম ইকবাল ৪০তম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করা ব্যাটসম্যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়