মানবতাবিরোধী অপরাধ : দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে চারজনের আপিল

আগের সংবাদ

ঝিকরগাছা : বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন উপসচিব

পরের সংবাদ

ঘুষ দাবির অভিযোগ : জগন্নাথপুরের ইউএনওসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারি জমি উদ্ধার না করে উৎকোচ দাবি ও দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। পৌর শহরের হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা মুহিতুর রহমান তালুকদার গত সোমবার সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মামলার বিষয়টি ভোরের কাগজকে নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী আবুল আজাদ। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাতজন ভূমি দখলকারীকে আসামি করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- জগন্নাথপুর উপজেলার বর্তমান ইউএনও সাজেদুল ইসলাম, সাবেক ইউএনও মাহফুজুল আলম মাসুম, সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত, সাবেক সার্ভেয়ার আব্দুল মোনায়েম খান, বর্তমান সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমান ও সদর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা একে এম নাজমুল হুদা খান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার হবিবপুর মৌজার ১নং খতিয়ানের ১২৫নং দাগের ২২ শতক গোপাটের রাস্তা রকম ভূমি হবিবপুর (মাঝপাড়া) এলাকার বাসিন্দা মামলার আসামি আলকাব আলী, সিজিল মিয়া, রুহিন মিয়া, সুজাত মিয়া, আবু শায়েক ও জামাল মিয়া ওই ভূমি জবর দখল করেন। দীর্ঘ ছয় বছর পর এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই সরকারি জায়গা

উচ্ছেদের জন্য ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) দখলকারীদের সাত দিনের মধ্যে উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেন।
এক বছরেও ওই জায়গা দখল মুক্ত না হওয়ায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে এডভোকেট মুহিতুর রহমান তালুকদার ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে ওই সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে লিখিত আবেদন করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মুহিতুর রহমান তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হলে, তিনি জেলার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টরকে (আরডিসি) ব্যবস্থা নিতে বলেন। আরডিসি একই বছরের ২৪ অক্টোবর জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলামকে অবৈধ দখলকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমানের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে বলেন। এ সময় সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমান দুই লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। এতে প্রতিবাদ করলে ওই সার্ভেয়ার পুলিশের ভয়ভীতি দেখান।
এ আইনজীবী আরো বলেন, নিরুপায় হয়ে জনস্বার্থে সরকারি গোপাটের রাস্তা উদ্ধার ও দখলকারীদের সহায়তাকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে মামলা করি। মামলায় সরকারি আদেশ অমান্য করে ঘুষ দাবির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। মামলা হয়েছে সেটার বিষয়েও জানি না। মামলায় ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাতজন ভূমি দখলকারীকে আসামি করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- জগন্নাথপুর উপজেলার বর্তমান ইউএনও সাজেদুল ইসলাম, সাবেক ইউএনও মাহফুজুল আলম মাসুম, সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত, সাবেক সার্ভেয়ার আব্দুল মোনায়েম খান, বর্তমান সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমান ও সদর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা একে এম নাজমুল হুদা খান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার হবিবপুর মৌজার ১নং খতিয়ানের ১২৫নং দাগের ২২ শতক গোপাটের রাস্তা রকম ভূমি হবিবপুর (মাঝপাড়া) এলাকার বাসিন্দা মামলার আসামি আলকাব আলী, সিজিল মিয়া, রুহিন মিয়া, সুজাত মিয়া, আবু শায়েক ও জামাল মিয়া ওই ভূমি জবর দখল করেন। দীর্ঘ ছয় বছর পর এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ওই সরকারি জায়গা উচ্ছেদের জন্য ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) দখলকারীদের সাত দিনের মধ্যে উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেন।
এক বছরেও ওই জায়গা দখল মুক্ত না হওয়ায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে এডভোকেট মুহিতুর রহমান তালুকদার ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে ওই সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে লিখিত আবেদন করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মুহিতুর রহমান তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হলে, তিনি জেলার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টরকে (আরডিসি) ব্যবস্থা নিতে বলেন। আরডিসি একই বছরের ২৪ অক্টোবর জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলামকে অবৈধ দখলকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমানের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে বলেন। এ সময় সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমান দুই লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। এতে প্রতিবাদ করলে ওই সার্ভেয়ার পুলিশের ভয়ভীতি দেখান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল আজাদ ভোরের কাগজকে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন। আইনজীবী আরো বলেন, নিরুপায় হয়ে জনস্বার্থে সরকারি গোপাটের রাস্তা উদ্ধার ও দখলকারীদের সহায়তাকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে মামলা করি। মামলায় সরকারি আদেশ অমান্য করে ঘুষ দাবির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। মামলা হয়েছে সেটার বিষয়েও জানি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়