ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

ব্যর্থ সমঝোতার বৈঠকে পাশে ছিলেন অপু বিশ্বাস : অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ নথিতে শাকিব খান ‘মদ্যপ-ধর্ষক’!

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণ কাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠার পর প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে তা মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। এরপর থানা ও ডিবি অফিসে দৌঁড়ঝাপ করেও কূলকিনারা করতে পারছেন না আলোচিত-সমালোচিত এই নায়ক। অস্ট্রেলিয়া পুলিশের নথিতে ধর্ষণকারী হিসেবে তার নাম উঠে আসার খবর জানাজানি হয়ে গেছে। সে দেশের পুলিশের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন শাকিব খান ওরফে রানা। ক্যারিয়ারের প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া গিয়েই এমন ধর্ষণকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট জর্জ পুলিশ স্টেশনে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী নিজেই। আর ওই মামলার স্বাক্ষী হয়েছেন রহমত উল্লাহ। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই ব্যক্তি বহুল আলোচিত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক। ২০১৬ সালে কিছু অংশের শুটিং হলেও সিনেমাটির কাজ আর এগোয়নি। শাকিবকে নিয়ে নতুন বিতর্কের মধ্যে গত ১৭ মার্চ নিরবে দেশ ছাড়েন রহমত উল্লাহ। তবে শিগগিরই দেশে ফিরে তিনি আইনি লড়াই চালাবেন বলে জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়া পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ব্রাইটন লা স্যান্ডস বিচ হোটেলের দ্য গ্র্যান্ড প্যারেডের নভোটেল অংশের ৭২১ নম্বর অ্যাপার্টমেন্টে ওই নারী প্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। বিস্তারিত তদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ তাদের প্রতিবেদনে শাকিবকে ধর্ষক উল্লেখ করে বলেছে, তিনি মধ্যপ অবস্থায় সহপ্রযোজকের ওপর যৌনাচার চালিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, শাকিব খান ওরফে রানা একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ভুক্তভোগী তার আঙ্কেল রহমত উল্লাহর ফিল্ম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে প্রডিউসার হিসেবে কাজ করেন। ভুক্তভোগী নারী ও রহমত উল্লাহ বাংলাদেশি একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। যার শুটিং অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে ভুক্তভোগীর প্রথম দেখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে নিয়মিত শাকিব খানের ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করেন তিনি।
এদিকে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ বাংলাদেশে এসে শাকিবের নামে মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। গত ১৫ মার্চ বিকালে সশরীরে

এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী, প্রযোজক ও পরিচালক সমিতি বরাবর এমন লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ নিজেই। সেই অভিযোগে তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় শুটিংয়ে গিয়ে সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। শুধু তাই নয়, এ অভিযোগে অস্ট্রেলিয়াতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। এ খবর প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে শাকিবসহ ঢাকাই সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
অভিযোগের পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় প্রযোজক রহমত উল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন শাকিব। সে সময় উপস্থিত ছিলেন শাকিবের সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুসহ আরো অনেকে। একঘণ্টা চলা এ বৈঠকে কোনো সমাঝোতা করতে না পেরে পাল্টা পদক্ষেপ নেন শাকিব খান। তিনি সব অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি রহমত উল্লাহ ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক নন বলে দাবি করেন। এরপর রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে গত শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় যান তিনি। পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর রবিবার দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে যান শাকিব। সেখানে ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ডিবি।
‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রকাশিত টিজারে দেখা যায় আশিকুর রহমান পরিচালিত এ সিনেমার প্রযোজনায় আছে বাংলাদেশের ভারটেক্স প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সিনেমাটির কোপ্রডিউসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেফেক্টস। যার কর্ণধার রহমত উল্লাহ নিজেই। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়া এ সিনেমার ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এরপর নানা জটিলতায় সিনেমাটির শুটিং আর হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়