ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

ইসির সিদ্ধান্ত : ৫ সিটি নির্বাচনে তফসিল এপ্রিলে

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ৩ ধাপে ৫ সিটি করপোরেশনের ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই হিসেবে ঈদুল আজহার আগে ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষে এবং ঈদুল আজহার আগে ৫টি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ করতে চায় ইসি। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সভা হয়।
ইসি সচিব বলেন, মে থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের এই তারিখ নির্ধারণের কারণ হলো রমজান শেষে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, তা চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে সম্ভাব্য ৭ জুলাই থেকে। আর ২৯ জুলাই হতে পারে ঈদুল আজহা। সেজন্য এসএসসি পরীক্ষা শেষে ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে ৩ ধাপে ৫ সিটির ভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব নির্বাচনে ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরাও রাখতে চায় কমিশন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তফসিলের আগে।
সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। ইসি সচিব জানান, রোডম্যাপের আলোকে কোন কাজে কতটুকু অগ্রগতি, তা কমিশনকে জানানো হযেছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, নতুন দল নিবন্ধন, নির্বাচনী সীমানার খসড়া প্রকাশ, পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে।
ইভিএমের বিষয়ে ইসি সচিব জানান, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে- ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামত করে আমরা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারব। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা (ইভিএম ও আসন) সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারব। অর্থ ছাড়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হবে।
সর্বোচ্চ ৬০-৭০টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ সম্ভব কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে। আসন সংখ্যা নির্ভর করবে ইভিএম মেশিনের ওপর। তবে সক্ষমতার বিষয়ে কমিশন সব সময় বলেছে, সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। এটার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে, এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসিনি। আয়তনে ছোট এবং ভোটার সংখ্যা কম, এমন এলাকা বেছে নিলে বেশিসংখ্যক আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া যাবে। এলাকা বড় হলে ইভিএমের আসন কমে যাবে।
প্রবাসীদের এনআইডির বিষয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, ঈদুল ফিতরের পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি দল পাঠিয়ে প্রবাসীদের এনআইডি সেবার বিষয়ে পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে। ভোটাররা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে এসে আবেদন করবেন। সেই আবেদন স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই ও তদন্ত হবে। পরে দূতাবাসে এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও অন্যান্য তথ্য নেয়া হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন স্মার্ট কার্ড তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পাঠাবে। সেখান থেকে এনআইডি নিতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৬ দেশ থেকে ৫ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোটার নিবন্ধনের আবেদন পাওয়ার পর তাদের স্থানীয় ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এখনো সাড়ে ৪ হাজার আবেদনের তদন্ত বাকি রয়েছে। প্রায় ৩শ আবেদন অনুমোদন পেয়েছে আর ২শ আবেদন বাতিল হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়