কাগজ প্রতিবেদক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন নয়, বাতিলের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন নাগরিক সমাজের ছয় প্রতিনিধি। তারা হলেন- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সি আর আবরাব, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজাউর রহমান লেনিন, সাইমুম রেজা তালুকদার ও শারমীন খান। এই বৈঠকে সরকারের পক্ষে আইনমন্ত্রী ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ একাধিক সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রথমে নিজেদের অবস্থানের কথা তুলে ধরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যমসহ নাগরিকদের বড় ধরনের উদ্বেগ আছে। আইনমন্ত্রীও তার আলোচনায় বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে এটির অব্যবহার হয়েছে। সার্বিকভাবে তাদের (নাগরিক সমাজ) অবস্থান হলো, তারা মনে করেন- আইনটি বাতিল করা দরকার। এর বিকল্প নেই। কারণ, মৌলিক যে ত্রæটি-বিচ্যুতি এবং উদ্বেগের জায়গা আছে এবং অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা মনে করেন এটিকে ঢেলে সাজালেও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তবে ইফতেখারুজ্জামানের পাশে উপস্থিত আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যাগুলো দূরীকরণের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তারপরও কোনটায় পরিবর্তন দরকার এবং কোনটা সঠিক আছে সে বিষয়ে আজকে (মঙ্গলবার) আলোচনা করা যায়নি। কারণ তারা সেই সময় পাননি। সে জন্য ৩০ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে চলা এই আলোচনা আবারো করবেন। সেদিন আবারো বৈঠক করে তাদের জবাব দেবেন। সেদিন এর সমাপ্তি ঘটবে বলে তিনি মনে করেন।
বৈঠকে প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও সময়ের অভাবে তা হয়নি। এ ছাড়া প্রস্তাবিত এই আইনের নতুন একটি খসড়া আজকেই ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। এ জন্য এটি আরো পর্যালোচনা করে আগামী ৬ এপ্রিল তা নিয়ে বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়- জানান আইনমন্ত্রী।