চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

সিংগাইরে সমালোচনার মুখে প্রশাসন : বন্দোবস্ত নেয়া সেই খালের উপর পাকা ভবন নির্মাণ

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : মামলা, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ ও সেল্টারদাতার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করার পরেও মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বন্দোবস্ত নেয়া খালের উপর প্রকাশ্যে পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সিংগাইর উপজেলার জার্মিত্তা ইউনিয়নের মুন্সিনগর মৌজায় এ ঘটনায় এলাকাবাসীর সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রশাসন।
এ নিয়ে দৈনিক ভোরের কাগজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর দায়িত্বশীলরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ সাময়িক বন্ধ করলেও সেটা স্থায়ী হয়নি। ভবন মালিক ঠিকই তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই জায়গায় ইতোপূর্বে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
এবার বহুতল ভবনের কাজ শুরু হলে এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে পড়ে লিজ গ্রহীতা মৃত আইনুউদ্দিনের ওয়ারিশরা। তবে আপত্তি উপেক্ষা করে নাতি কাউছার গংরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে খালের উপর একতলা ভবনসহ অন্য স্থাপনার কাজ সম্পন্ন করে ভাড়া দেন। ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ভাড়াটিয়াদের মধ্যে নুরুল ইসলামের ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস, আতাউল হকের সার ও কীটনাশকের দোকান, রিয়াজুলের কুড়া-ভুসির দোকান ও আমির হামজার মুদির গোডাউন রয়েছে।
স্থানীয় বাবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘খালের উপর ভবনটি নির্মাণ হওয়ায় আমার বসতবাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। আমি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রতিনিয়ত হয়রানি ও হুমকি-ধামকির শিকার হচ্ছি। দ্রুত খালের ওই জায়গা লিজ বাতিল করে ভবন অপসারণের উদ্যোগ না নিলে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।’
জামির্ত্তা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি স্যারদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তারা এখনো কোনো মতামত দেননি। মতামতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি অনেকগুলো স্থাপনা হয়েছে। স্থানীয় এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তার বসতবাড়িতে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়