মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

মক্কা নগরীতে আলো ঝলমলে অভিজাত এলাকা ‘আজিজিয়া’

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুজ্জামান খান, সৌদি আরবের মক্কা থেকে : সৌদি আরবের মক্কার অভিজাত এলাকা ‘আজিজিয়া’র বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ভিন্ন রকমের। সারাদিন এখানকার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ থাকলেও বিকালের পর থেকে জমে ওঠে বিকিকিনি। জেগে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। এখানকার বাসিন্দারা অভিজাত পরিবারের হওয়ায় তাদের দিনের সময়টা কাটে আয়েশিভাবে। সন্ধ্যার পর পরিবার নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ান। নামিদামি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে খেতে বসেন পার্কে। আলো ঝলমলে এই শহরে কারো নেই কর্মব্যস্ততার চাপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মক্কার এই এলাকায় পাঁচ তারকা হোটেলের ছড়াছড়ি। পাশাপাশি এলাকার মধ্যে শেরাটন, মিলেনিয়া, ফরচুন, হিল্টন, হলিডে ইনসহ আরো কয়েকটি তারকা হোটেল রয়েছে। যেখানে ধনীরা উঠেন হজ বা ওমরা করতে এসে। আজিজিয়া এলাকাজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের দোকান, স্বর্ণালঙ্কার মার্কেট। আছে বাহারি খাবারের দোকান। মূলত সৌদি আরবের যারা একটু ধনাঢ্য প্রকৃতির লোক তারা এখানে বসবাস করেন। কাবা শরীফ থেকে এই এলাকার দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার। পাঁচ তারকা হোটেলগুলোর কাছে মক্কার সবচেয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত মসজিদ এই আজিজিয়ায় অবস্থিত। বিভিন্ন সাইজের চোখ ধাঁধানো ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো রয়েছে এই মসজিদ। কার্যত তারকা হোটেলে অবস্থানকারীরা এই মসজিদে ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেন। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই নামাজে শরিক হন। নান্দনিক এই শহরের প্রতিটি এলাকায় রয়েছে আধুনিকতা ও আভিজাত্যের ছোঁয়া। সন্ধ্যার পর স্থানীয় লোকজন পরিবার নিয়ে নিরিবিলি এই এলাকায় ঘুরতে আসেন।
বাণিজ্যিক এই এলাকার উপর দিয়ে জামারায় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর মেরে হাজীদের কাবা শরীফের দিকে আসতে হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আজিজিয়া এলাকার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে যারা আসেন তাদের কাছে এই এলাকা অনেকটাই ভূতুড়ে মনে হতে পারে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলে যখন সবকিছু খোলা শুরু হয় তখন যেন নতুন এক শহরের দেখা পায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষের।
আজিজিয়া এলাকার মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা একাধিক লোকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, একটু মানসম্মত জিনিস কেনার জন্য মূলত তাদের এখানে আসা। দাম একটু বেশি হলেও গুণগতমান ভালো হওয়া এখানকার মার্কেটগুলোতে নির্দিষ্ট ক্রেতা রয়েছে। যদিও জুয়েলারি দোকানগুলোতে ২২ ক্যারেটের চেয়ে ২১ ক্যারেটের অলঙ্কার বেশি রয়েছে। আর বাংলাদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি ২২ ক্যারেটে। অনেকে কিনে থাকেন স্বর্ণের বার। এখানে স্বর্ণালঙ্কার কিনলে পরে ১৫ পার্সেন্ট ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয় বাধ্যতামূলক। চাইলে দামাদামিও করা যায়। অবশ্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রেতাদের অলঙ্কার কিনতে আস্থার জায়গায় হচ্ছে জেদ্দা মার্কেট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়