মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

ইসি কর্মকর্তার বাধ্যতামূলক অবসর

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ওএসডি নয়, সরাসরি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে নতুন এক নজির গড়ল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল রবিবার ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে অবসরে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি সচিবালয় এ নজির স্থাপন করে। ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফরিদপুর এ আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেয়া হলো।
চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বছর পূর্ণ হওয়ার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনো কারণ না দর্শানোর পর তাকে চাকরি হইতে অবসরে পাঠাতে পারবে।
মোস্তফা ফারুক ১৯৯৬ সালের জুনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। তখন প্রশিক্ষণের অর্থ ব্যয়ে অনিয়ম হয়েছে দাবি করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার করে গণমাধ্যমগুলো। তাতে অভিযোগ তোলা হয়, মোস্তফা ফারুকসহ নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণে কোর্স পরিচালক ও বিশেষ বক্তাসহ একাধিক পদে থেকে অনেক অর্থ নিজেরা নিয়েছেন।
এরপর ২০১৯ সালে ২৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের চার পদে রদবদল করা হয়, যার মধ্যে মোস্তফা ফারুককে ঢাকা থেকে সরিয়ে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাকে অবসরে পাঠানো হলো। এ বিষয়ে মোস্তফা ফারুকের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
নানা অভিযোগের মুখে নির্বাচন কমিশনে এর আগে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার নজির থাকলেও অবসরে পাঠানোর ঘটনা দেখা যায়নি। এটিই প্রথম। ২০০৬ সালে বিচারপতি এম এ আজিজ নেতৃত্বাধীন বিতর্কিত কমিশনের সময় ইসি সচিবালয়ের তৎকালীন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়াকে ওএসডি করা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানান, ইসির ৭৯২টি প্রথম শ্রেণি ও ২ হাজার ৩৭টি অন্যান্য শ্রেণির অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর মধ্যে ইসি সচিবালয়ে রয়েছে ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ কর্মকর্তাদের একই কর্মস্থলে ২৫ বছরেরও বেশি সময় কাটানোর নজিরও রয়েছে।
তবে ২০০৮ সালে এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন নবম সংসদের আগে চাকরিবিধি সংশোধন করে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের ব্যাপক রদবদল করে। বর্তমান ইসিও রদবদল অব্যাহত রেখেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়