অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

মক্কার হালাকায় উট-দুম্বার হাট : বিয়ে-শাদিতে রান্না করে পরিবেশন করা হয় আস্ত উট-দুম্বা

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুজ্জামান খান, মক্কা (সৌদি আরব) থেকে : সৌদি আরবে হজ কিংবা ওমরাহ পালন করতে আসা মানুষের কাছে একটি পরিচিত নাম হালাকা। এখানে মূলত দুম্বা এবং উট বিক্রি করা হয়। প্রতি শুক্রবার বিকালে নিলামের মাধ্যমে এসব বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়া কুরবানির সময় প্রতিদিনই বিক্রি হয় দরদাম করে।
সরজমিন দেখা গেছে, আকার ভেদে একটি উটের দাম ওঠে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার রিয়াল পর্যন্ত। দুম্বা ৫০০ থেকে আড়াই হাজার রিয়াল, এগুলোর ওজন হয় ২০ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত। ছাগলের মতো দেখতে ‘বরবরি’ বিক্রি হয় ৩০০ হয়ে ৫০০ রিয়ালে। এগুলোর ওজন হয় ১০ থেকে ১৫ কেজি। রামছাগলের মতো দেখতে ‘সোহাগিনী’ বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ১৫০০ রিয়ালে, ওজন ২৫ থেকে ৩০ কেজি হয়। মূলত কসাই এবং সাধারণ মানুষ এসবের ক্রেতা।
হালাকার একাধিক উট ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এখানকার বিয়ে-শাদি অনুষ্ঠানের জন্য বড় বড় কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। ধনীদের বিয়ের অনুষ্ঠানে একটি আস্ত উট বিশেষ পদ্ধতিতে ক্রেন দিয়ে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রান্না করা হয়। বিশাল আকারের প্লেটে তা পরিবেশন করা হয়। পর্যায়ক্রমে ২০ জন করে বসে তা গ্রহণ করেন। একইভাবে একটি আস্ত দুম্বাও রান্না করা হয় বিশেষ পদ্ধতিতে এবং তা পরিবেশনও করা হয় একটি প্লেটে।
বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিনই উট-দুম্বা বিক্রি হয় সাধারণ মানুষের কাছে। বিশেষ করে কারো হজ বা ওমরাহর কোনো ওয়াজিব নষ্ট হলে দুম্বা কিনে দম বা সদকা দিতে হয়। সৌদি আরবে কর্মরত একাধিক বাংলাদেশি জানান, হালাকার হাট থেকে উট-দুম্বা কেনার পর সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট জায়গায় নেয়া হয়। দুম্বা জবাই এবং মাংস বানানোর জন্য সর্বনি¤œ ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ রিয়াল সরকারি কোষাগারে দিতে হয়। উট জবাই এবং মাংস বানানোর জন্য ১৫০০ থেকে আড়াই হাজার রিয়াল দিতে হয়। কুরবানির সময় এ খরচ বাড়ে। বাংলাদেশের মতো এখানেও আছেন মৌসুমি কসাই, যাদের অধিকাংশই প্রবাসী বাংলাদেশি। সরকার নির্ধারিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই কসাইখানায় সার্বক্ষণিক রয়েছে পশু
চিকিৎসক এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এখানে ব্যক্তিগতভাবে কোথাও পশু জবাই করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ তা করতে গেলেই তাকে জেল-জরিমানায় পড়তে হয়।
হালাকা বাজারের দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা এসব পশু বিক্রি হয়ে থাকে। আশপাশে অনেক গৃহস্থ রয়েছেন যারা এসব লালনপালন করে থাকেন। হাটের মধ্যেও এদের লালনপালনের জন্য লোক রয়েছে। বড় বড় ট্রাকে করে এসব পশুর জন্য নিয়মিত ঘাসসহ অন্যান্য খাবার আনা হচ্ছে। কেউ চাইলে হাটেই পেতে পারেন উটের দুধ। হজ এবং ওমরাহ করতে আসা অনেকেই প্রতিদিন উট ও দুম্বা দেখতে হালাকা বাজারে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়