অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা তেঁতুল গাছ

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়া থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ব্যাপক ঔষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ তেঁতুল। যুগ যুগ ধরেই মানুষ নানা রোগ নিরাময়ে তেঁতুল থেকে ভেষজ উপায়ে ওষুধ তৈরির মাধ্যমে তা সেবন করে সুস্থতা লাভ করে আসছে। মানুষ অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে অত্যধিক ব্যয়বহুল আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে না। ব্যয়বহুল চিকিৎসার হাত থেকে বাঁচতে এক রকম বিনা খরচে স্বল্প সময়ে বহুমুখী রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী গাছের নাম হলো তেঁতুল। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও নতুন করে চারা রোপণের উদ্যোগের অভাবে এ ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদটি আজ বিলুপ্তির পথে। ভেষজবিদদের মতে, রোগ প্রতিকারে অনেক পদ্ধতিতে তেঁতুল ব্যবহার করা যায়। রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর কাজে বর্তমানে তেঁতুলের আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে।
নিয়মিত তেঁতুল খেলে শরীরে মেদ জমতে পারে না। তেঁতুলে টারটারিক এসিড থাকার কারণে খাবার হজমেও এটি দারুণ সহায়ক। পেটের বায়ু ও হাত-পা জ্বালাতে তেঁতুলের শরবত খুবই উপকারী। পেটের অমø, মাথাব্যথা, ধুতরা ও কচুর বিষাক্ততা থেকে রক্ষা পেতে তেঁতুল ফলের শাঁসের শরবত খেলে শতভাগ সুফল পাওয়া যায়।
এভাবে নিয়মিত খেলে প্যারালাইসিস আক্রান্ত অঙ্গের অনুভূতি ফিরে আসে। এসব উপকার পেতে সরাসরি না খেয়ে পুরনো তেঁতুলের তিন-চারটি দানা এক কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে লবণ অথবা চিনি দ্বারা সেবন অত্যাধিক নিরাপদ। তেঁতুল গাছের ছালের চূর্ণ ব্যবহার করে হাঁপানি, চোখ জ্বালাপোড়া ও দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তেঁতুল পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে সেই পানি জিরার সঙ্গে খেলে আমাশয় ভালো হয়। মুখের ভেতরের ক্ষত সারাতে তেঁতুল পাতার সিদ্ধ পানি মুখে নিয়ে দুই-তিন দিন চার-পাঁচবার গড়গড়া করলে আরোগ্য পাওয়া যায়। একই পানি দ্বারা শরীরের যে কোনো নতুন ও পুরনো ক্ষতস্থান ধুয়ে দিলে ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যায়। তেঁতুলের ঔষধি গুণাগুণ ছাড়াও যাবতীয় মুখরোচক খাবার তৈরিতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কথা হয় ভাঙ্গুড়া হাজি জামাল উদ্দিন সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল লতিফের সঙ্গে। তিনি জানান, যদি এই ঔষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদটিকে সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, চারা রোপণের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা না যায় তাহলে একদিন হয়তো প্রকৃতি থেকে চিরচেনা তেঁতুল গাছটি হারিয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়