খুলনা প্রতিনিধি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দখলদারদের হাতে নদী থাকবে না, উদ্ধার হবেই। নদী দখলকারীদের তালিকা করা হয়েছে। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধানের ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম?্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান, অনুষ্ঠান সমন্বয়ক মাসুম মাহমুদ প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার- নদী দখলদারদের হাতে থাকবে না। তার নির্দেশনায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৮০টি ড্রেজার সংগৃহীত হয়েছে।
তিনি বলেন, নৌপথ দখল ও দূষণমুক্ত করে নাব্য ফিরিয়ে এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। নৌপথ ও নদী রক্ষার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের পাশে বর্তমান সরকার রয়েছে। কাকলী প্রধান নদী নিয়ে যে আয়োজন করেছে এটা সকল জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়–ক। নদী নিয়ে সবাইকে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং শিশু সংগঠন ‘ইকরিমিকরি’ সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন?্য কাজ করছে। এ লক্ষে?্য ১০০ নদীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও টেকনাফে। আলোকচিত্র প্রদর্শনী গত ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী প্রদর্শনী ১৬ থেকে ১৮ মার্চ বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে ড্রেজার বেইজে এবং ২০ থেকে ২২ মার্চ ঢাকার শ?্যামপুর ইকোপার্কে অনুষ্ঠিত হবে।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীগুলো আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ অভ?্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। প্রতিমন্ত্রী এর আগে খুলনার বয়রাস্থ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ভূমি, বানিয়াখামাস্থ শপিং কমপ্লেক্স, মোংলা বন্দরের রুজভেল্ট জেটি এবং বিআইডব্লিউটিএর জেটি পরিদর্শন করেন।