কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সমাবেশ : প্রযুক্তির ব্যবহারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রযুক্তির ব্যবহারে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কম। এর অন্যতম কারণ নারীদের মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এখনো কম। ৬১ শতাংশ নারীর মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা আছে। যেখানে পুরুষের হার ৮৬ শতাংশ। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হলে সাইবার ক্রাইমের প্রতি সচেতন থেকে প্রযুক্তির উদ্ভাবন, অভিগম্যতা ও প্রবেশাধিকারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তাদের দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালিও অনুষ্ঠিত হয়। ‘ডিজিটাল
বিশ্ব হোক সবার : নারীর অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবিলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সেলিনা আক্তার, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস এন্ড ডাইভারসিটি বিভাগের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
বক্তারা বলেন, ২৫ বছরে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নারীদের অনেক অর্জন আছে। এর পেছনে নারী আন্দোলন ও মানবাধিকার আন্দোলনের অবদান আছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগগুলোও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে হবে। ব্র্যাকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিটাল সুযোগের অভাবে ৬০ শতাংশ আদিবাসী শিশু শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পলিসি অনুসারে নারী ও তরুণীদের জন্য ব্যবহারের সুযোগ বাড়াতে হবে। শ্রমজীবী নারীরা ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে এখনো পিছিয়ে আছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাসহ নানা দক্ষতার অভাবে। গার্মেন্টসে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছে অটোমেশনের কারণে। আধুনিক প্রযুক্তিগুলো নারীবান্ধব করতে হবে, তাদের ব্যবহারের সুযোগ ও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহারে নারীর প্রতি থাকা স্টিগমাগুলো দূর করতে হবে।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করা জরুরি। এই নতুন পরিবর্তনের ফলে নারী-পুরুষ সমতার পথে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যবহারে সমাজ ও মানুষকে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিতে নারী সমাজকে তৈরি করতে পরিবর্তিত অবস্থায় নারী আন্দোলনকে নতুন করে ভাবতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়