সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

বিপিএল থেকে জাতীয় দলে তৌহিদ হৃদয়

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর দুর্দান্ত কেটেছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের। ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে খেলার। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তাকে।
বিপিএলের এই আসরে তৌহিদের ব্যাট হাতে এসেছে ৪০৩ রান। ১৩ ম্যাচে ৩৬.৬৩ গড়ে এই রান করে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি। ব্যাট করেছেন ১৪০ স্ট্রাইক রেটে। ফিফটি আছে ৫টি, সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা অপরাজিত ৮৫। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে তরুণ এই ব্যাটসম্যানের সা¤প্রতিক ফর্ম জাতীয় দলে ডাক পেতে সাহায্য করেছে। এ ছাড়া ‘এ’ দল ও এইচপি দলের হয়েও হৃদয়ের পারফরম্যান্স জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়ার আরেক কারণ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন হৃদয়। সে দলের মিডল অর্ডারের ভরসা ছিলেন তিনি। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যানও মনে করা হতো। সেজন্য বিসিবির প্রতিটি প্রোগ্রামে ছিল হৃদয়ের নাম। কিন্তু বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের পর মাঠের পারফরম্যান্সে গর্ব করার মতো কিছুই ছিল না। টি-টোয়েন্টির জন্য তাকে খুব উপযুক্তও মনে করা হচ্ছিল না। এক বছর আগেও হৃদয়ের স্টান্স এতটা ওপেন ছিল না, ব্যাক লেফট এতটা উঁচু ছিল না। শট খেলার সময় মাথার অবস্থানও এতটা স্থির ছিল না। গত বিপিএলে ১০ ইনিংস খেলে ১৭ গড় ও ৯৭.৮৪ স্ট্রাইক রেটে ১৩৬ রান করেছিলেন হৃদয়। এরপর টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন, বাড়িয়েছেন শট খেলার সামর্থ্য। বড় শট খেলার সময় ভারসাম্য যেন ঠিক থাকে, সেটি নিয়ে কাজ করেছেন। আর সেটা প্রতিফলিত হয়েছে এবারের বিপিএলে।
যে কারণে তৌহিদ হৃদয় নামটি এখন বহুল পরিচিত, ক্রিকেটাঙ্গনের সকলের মুখে এখন ঘুরে ফিরছে এই নামটি। সব মিলিয়ে সময়টা খুব ভালো যাচ্ছে তৌহিদ হৃদয়ের। ভালো সময়টা আরো রঙিন হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দলে ডাক পাওয়ায়। বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক তৌহিদ হৃদয়কে দলে নেয়ার ব্যাপারে যে বলেন, ‘তৌহিদ হৃদয় ৩ বছর ধরে কিন্তু আমাদের এইচপির স্কোয়াডের সঙ্গে আছে। মিডল অর্ডারের জন্য কিন্তু আমরা ওকে ওভাবেই পরিচর্যা করেছি। একজন মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে ওকে দলে নেয়া হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আলোচনা করেই কিন্তু আমরা নিয়েছি। অধিনায়কও অন্তর্ভুক্ত ছিল, কোচের সঙ্গেও কথা হয়েছে এবং স্পিন বোলিং কোচের সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সিরিজ বাই সিরিজ আমাদের যারা পুলভুক্ত খেলোয়াড় আছে তাদের প্রায় সবাইকে দেখা হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এক বছরের জন্য আমাদের ২২ জনের একটা পুল করা হয়েছে। এই পুলের মধ্যে সবাই আছে, যারা আসা-যাওয়ার মাঝে আছে। সবাইকে নিয়েই দেখা হচ্ছে। একটা সিস্টেমের মাঝে রাখা হয়েছে, যাতে করে যাকে যখন প্রয়োজন, তাকে যেন ব্যবহার করা যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু ‘এ’ দলে খেলেছে। তারপরও আমাদের নির্বাচক ও কোচিং প্যানেল ওর ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।’
– শাহাদাত হোসেন কিফাত

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়