চীন-বাংলাদেশ কালচার এন্ড আর্ট নাইট

আগের সংবাদ

কাতারের উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

সৈয়দপুর হাসপাতালে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ রোগীরা : এক সপ্তাহে ২০ মোবাইল ও অর্ধলাখ টাকা চুরি

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় প্রতি রাতেই রোগী ও তাদের স্বজনদের টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে চোরের উৎপাতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। চুরি বন্ধে সম্প্রতি এ হাসপাতালে ২৪টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। তারপরও চুরির ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। গত এক সপ্তাহে রোগী ও স্বজনদের প্রায় ২০টি মোবাইল ফোন ও অর্ধলাখ টাকা চুরি হয়ে গেছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা স্বজনরা। শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এ হাসপাতালে সৈয়দপুর ছাড়াও আশপাশের পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর, খানসামা, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এছাড়া রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার লোকজনকেও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এখানে ভর্তি করা হয়। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন শত শত রোগী ভিড় করেন।
হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, চুরির ঘটনাগুলো ঘটে মূলত রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী ও স্বজন যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকেন, ঠিক সেই সময়ে চোরেরা কৌশলে হাসপাতালে ঢুকে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে সটকে পড়ে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ড থেকে শহরের চামড়াগুদাম এলাকার রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে যায় চোররা। এর আগে সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরের দুটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে এক তত্ত্বাবধায়কের মোবাইল ফোন চুরি গেছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির বৈদ্যুতিক সংযোগের সার্ভিস তার চুরির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। চুরি গেছে হাসপাতাল চত্বরে থাকা মসজিদের পানি তোলার মোটর পাম্প। এছাড়া হাসপাতালে আসা রোগী ও আত্মীয়স্বজনের মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, রিকশা ও রিকশাভ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, রাতে ওয়ার্ডগুলো থেকে রোগী ও স্বজনের মোবাইল ফোন ও টাকা চুরির অভিযোগ মিলছে প্রায়ই। বিষয়টি সৈয়দপুর থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। চুরি বন্ধে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়