উপাচার্য ড. মশিউর রহমান : সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রুখতে হবে

আগের সংবাদ

সংস্কারের বিরূপ প্রভাব বাজারে : আইএমএফের শর্ত মেনে গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

পরের সংবাদ

অর্থ আত্মসাৎ : ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিচার শুরু

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাড্ডা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরেক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ চার্জগঠনের আদেশ দেন। এর মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো।
গতকাল রাসেলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রাসেল ও শামীমাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। তবে আদালত তা নাকচ করে দেন। এরপর রাসেলের জামিন চাইলেও বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। এদিকে শামীমা নাসরিন জামিন পেয়ে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পিপি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (শামীম) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরআগে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের শুরুর দিকে বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালিতে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অর্ধেক মূল্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক ও বন্ধুর নামে আইডি খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার পণ্য অর্ডার করে বিকাশ/নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন। অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও ৭ মাসেও বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। এভাবে আসামিরা সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এদিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে দশোধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়