শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলন ১০ মার্চ

আগের সংবাদ

ই-টিকেটের নামে ‘ফাঁকিবাজি’ : টিকেট দিতে অনীহা কন্ট্রাকটরের, টিকেটের বিষয়ে যাত্রীরাও উদাসীন, মনিটরিং ব্যবস্থা অপ্রতুল

পরের সংবাদ

ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন ভুলে যেতে বললেন গার্দিওলা

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : এফএ কাপের শেষ ষোলোতে ব্রিস্টল সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চত করেছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। এই মৌসুমে তিনটি শিরোপার দৌড়ে টিকে আছে সিটিজেনরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো, প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ও এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে খেলোয়াড়দের ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন ভুলে যেতে বলেছেন গার্দিওলা।
বার্সেলোনার দায়িত্ব নেয়ার পর কোচ হিসেবে ২০০৯ সালে ‘ট্রেবল’ জয় করেছিলেন গার্দিওলা। তবে সিটিজেনদের হয়ে সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে নারাজ এই স্প্যানিশ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ভুলে যান ট্রেবল জয়ের কথা। এ নিয়ে আলোচনা করলেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমরা এখনো প্রস্তুত নই। এমনকি এক সেকেন্ডের জন্যও ট্রেবল নিয়ে ভাবছি না। আমরা শুধু পরের ম্যাচটি নিয়েই ভাবছি। একটি কথাই আমি অনেকবার বলেছি, মৌসুম শেষ হওয়ার তিন মাস আগ পর্যন্ত আমরা তিনটি প্রতিযোগীতায় টিকে আছি। এটাই বড় শিরোপা।’
ব্রিস্টলের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ম্যানসিটি। শুরুতেই এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের ৭ মিনিটে রিয়াদ মাহারেজের ক্রস থেকে বুলেট গতির শটে গোল করেন ফিল ফোডেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। বিরতি থেকে ফিরে আবারো গোল করেন ফোডেন। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের ফ্লিকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। আর ব্রিস্টলের জালে শেষ গোলটি করেন কেভিন ডি ব্রুইনা। ম্যাচের ৮১ মিনিটে পাল্লার শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাজিত করেন তিনি। ম্যাচ শেষে ফোডেনের প্রশংসা করে গার্দিওলা বলেন, ‘তার ক্যারিয়ার সবসময়ই উপরের দিকে ধাবিত হয়েছে। এ মৌসুমে তাকে কিছুটা হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে, যে কারণে খেলার মানও কিছুটা কমে গেছে। কিন্তু মৌসুমের সেরা ফর্ম নিয়েই তিনি আবারো মাঠে ফিরেছেন। দলে তার প্রভাব অপরিসীম।’
এফএ কাপের অপর ম্যাচে ব্ল্যাকবার্নের কাছে পরাজিত হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়েছে লেস্টার সিটির। ব্রেন্ডন রজার্সের অধীনে ২০২১ সালে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম এফএ কাপের শিরোপা জয় করেছিল তারা। প্রথমার্ধের ৩৩ মিনিটে টাইরিস ডোলানের শটে এগিয়ে যায় ব্ল্যাকবান। বিরতির পর ম্যাচের ৫২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সামি সিজিমোডিকস। তবে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে কেলেচি ইহেনাচো এক গোল পরিশোধ করলেও হার এড়াতে পারেনি লেস্টার। ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স এফএ কাপের শেষ আটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ম্যাচ শেষে লেস্টার সিটির কোচ ব্রেন্ডন রজার্স বলেন, ‘এই পরাজয়ের জন্য আমি দায়ী। আমি খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছি তবে তা কাজে আসেনি। প্রতিপক্ষ আমাদের থেকে ভাল খেলেছে, এই জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল।’
অপরেিদক ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর জুভেন্টাসের হয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল পল পগবা। ম্যাচে দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত তুরিনোকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। ম্যাচ শুরুর ১ মিনিটের মাথায় কর্ণার থেকে তুরিনোকে লিড এনে দেন ফ্রেঞ্চম্যান ইয়ান কারামো। তবে ম্যাচের ১৬ মিনিটে জুভেন্টাসকে সমতায় ফেরান হুয়ান কুয়াড্রাডো। বিরতির আগ মুহূর্তে আবারো এগিয়ে যায় তুরিনো। ৪৩ মিনিটে এন্টোনিও সানাব্রিয়া গোল করেন। তবে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে হেড থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সমতায় ফেরান দানিলো। বিরতির পর আরো আক্রমণ করে খেলতে থাকে জুভেন্টাস। তারা এগিয়ে যায় ম্যাচের ৭১ মিনিটে। ব্রেমার প্রথমবারের মত জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন। এরপর ম্যাচের ৮০ মিনিটে ব্যবধান ৪-২ করেন আদ্রিয়েন রাবিওট।
সিরিআতে অপর ম্যাচে হোসে মরিনহোর রোমাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্রিমোনেস। ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন মরিনহো।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে ক্রিমোনেসের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ফ্র্যাংক টাসাজুট। বিরতির বাঁশি বাজার পর রেফারির সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করে লাল কার্ড দেখে ডাগ আউট ত্যাগ করেন মরিনহো। তবে ম্যাচের ৭১ মিনিটে লিনার্দো স্পিনাজ্জোলার গোলে সমতা ফেরায় রোমা। তবে ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় ক্রিমোনেস। স্পট কিক থেকে ব্যবধান ২-১ করেনড্যানিয়েল সিওফানি। এই হারে টেবিলেন পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে রোমা। ম্যাচ শেষে রেফারিকে মামলার হুমকি দেন মরিনহো। তিনি বলেন, ‘আমি আবেগপ্রবণ কিন্তু পাগল নই। আমি যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই তাতে প্রথমে কিছু ঘটতে হবে। আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি সেটা বুঝতে হবে। রেফারি আমাকে লাল কার্ড দিয়েছেন, কারণ দুর্ভাগ্যবশত চতুর্থ রেফারি আমাকে কী বলেছেন তা বোঝার ক্ষমতা তার নেই। আমার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো একজন চতুর্থ কর্মকর্তা আমার সঙ্গে সবচেয়ে বাজেভাবে কথা বলেছেন। এটা অযৌক্তিক ছিল।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়