মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

ভাগ হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড : এনসিটিবি থেকে আলাদা হচ্ছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হ সাশ্রয় হবে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপিয়ে দেয়ার সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক (এনসিটিবি) বোর্ড রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই প্রণয়ন, ছাপানো এবং বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা পথে হাঁটতে চায়। এজন্য তারা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামতের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি মতামত দিলেই এনসিটিবি থেকে আলাদা হবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনসিটিবি থেকে বই ছাপাতে চায় না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এনসিটিবি থেকে পৃথক হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাসহ সব কাজ করতে চায়। এ নিয়ে এনসিটিবির সঙ্গে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্ব›দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এর আগেও একবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এনসিটিবিকে ছাড়তে চেয়েছিল। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হস্তক্ষেপে তা রক্ষা পায়। তবে এবার আর সেই অবস্থা নেই। এজন্য ২০২৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই এনসিটিবির বদলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ছাপাতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানো হবে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, এ বছর নির্বাচনী বছর। গত বছরের চেয়ে এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছি আমরা। এরই মধ্যে এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ে সভা করে কর্মপরিকল্পনা জারি করেছি। এ বছর আমরা নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো মূল্যে সব পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিশ্চিত করব। এজন্য যা যা করা দরকার কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা করা হবে।
তিনি বলেন, এনসিটিবির আইনে বলা হয়েছে, পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রণয়ন ও মুদ্রণের কাজ এনসিটিবি করবে। আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছিলাম। সেখানে আমরা প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানো নিয়ে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছি। সুবিধা-অসুবিধা, নাগরিক এবং শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করেছি। পর্যালোচনা করে আমরা কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবেই এগুব। এনসিটিবি আসলে ওভারবার্ডেন (কাজের চাপে ভারাক্রান্ত)। তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল সংকটের কারণে তারা ওভারবার্ডেন।
সচিব আরও বলেন, বই ছাপানোর বরাদ্দ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে আসে। আইন অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হয়। কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দও আছে। কাজটা যদি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করতে পারি সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আমরা আরো দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে পারব। এনসিটিবির ওপর বার্ডেনও কমবে।
তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে জানিয়ে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আগামী বছর কাজ করব। এ বছর কোনো জটিলতা নেই। যার যা দায়িত্ব তা আমরা পালন করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়