গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয়ে লুটপাট চালাতেন নাহিদ

আগের সংবাদ

আ.লীগ-বিএনপি তুলনা নয় > কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী : জঙ্গি-সন্ত্রাস-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে

পরের সংবাদ

ঝালনাথ খানাল : পশ্চিমারা নিজেদের স্বার্থে হুকুমজারি করছে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের মতো করে অন্যদেশের ওপর হুকুমজারি করে বলে মন্তব্য করেছেন নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ ঝালনাথ খানাল। তিনি বলেন, পশ্চিমারা গরিব দেশগুলোর সামাজিক ও রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করে নিজেদের স্বার্থ গরিব দেশগুলোর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়াম হলে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত মানবাধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঝালনাথ খানাল বলেন, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর পরামর্শ উন্নয়নশীল ও গরিব দেশগুলোর জন্য ক্ষতিকর। তারা গরিব দেশের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার কৌশলের ওপর হস্তক্ষেপ করে। মানবাধিকার বাস্তবায়নে বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে কাজ করছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো হুকুমজারি করছে। নিজেদের স্বার্থ
অন্য দেশগুলোর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির পশ্চিম-পূর্ব অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই রয়েছে। প্রত্যেকটি দেশের স্ব স্ব রাজনীতির মাধ্যমে মানবাধিকার নিশ্চিত করেতে হবে। নিজেদের পদ্ধতি অনুযায়ী সব ধর্মীয় স¤প্রদায়, সংখ্যালঘু তথা নাগরিকের সামগ্রিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার নিশ্চিতে সব পদক্ষেপ নিতে হবে। ঐক্য, সহযোগিতা ও সহানুভূতি গড়তে পারে একটি সাম্যের সমাজ।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে তিনি বলেন, মানবাধিকার উন্নয়নের প্রধান শর্ত অর্থনৈতিক উন্নতি। সা¤প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে ইচ্ছুক। অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি আমরা পরস্পরের মানবাধিকার উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চাই।
সভায় জার্মান জিবিপি ইন্টারন্যাশনালের এমডি ভলকার ইউ ফ্রেডরিক বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে জার্মানির জনগণ গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। শ্রমিকদের মজুরি ও উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বাকস্বাধীনতা ও উন্মুক্ত চিন্তার বিস্তারের বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। গত দুই বছরে এগুলোর উন্নতি ঘটেছে।
বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ভুটানের গেøাবাল ভিলেজ কানেকশনের চেয়ারম্যান জেকশন দুকপা, ভারত থেকে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের বিশেষ প্রতিনিধি স্বপ্না সাহা, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়