পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী : রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়ে জানতে চেয়েছে ঢাকা

আগের সংবাদ

টয়লেট্রিজের দামে লোভের আগুন : নীরবে বেড়েছে সাবান টুথপেস্ট পাউডার ডিটারজেন্ট শ্যাম্পুসহ টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম

পরের সংবাদ

ওয়াজ যেন আওয়াজ না হয়

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ওয়াজ মানে নসিহত, বক্তৃতা, উপদেশ বা ভাষণ। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করে যে বক্তৃতা বা নসিহত করা হয় তাই ওয়াজ হিসেবে পরিগণিত। ইসলামের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়াজ বা ভাষণ হলো বিদায় হজে সোয়া লাখ সাহাবায়ে কেরামের বিশাল জনসমুদ্রে প্রদত্ত মহানবী (সা.)-এর ঐতিহাসিক ভাষণ- যা মানবজাতির জন্য মুক্তি ও সফলতার এক অনবদ্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। শুধু বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণই নয়, রাসুল (সা.)-এর যে কোনো কথা বা বক্তব্যই শ্রোতা-দর্শকরা তন্ময়াপ্লুত হয়ে যেত; তার কথা বা উপদেশমালায় ছিল নজিরবিহীন প্রভাব, যা সবাইকে মুগ্ধ ও আকৃষ্ট করত। রাসুলের (সা.) মুখঃনিসৃত বাণীতেই আমরা জানতে পারি- ‘ইন্না মিনাল বায়ানি লাসিহ্রুন’ অর্থাৎ কোনো কোনো বক্তৃতা নিশ্চয়ই জাদু তথা জাদুর ন্যায় মানুষকে প্রভাবিত করে। ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই এই ওয়াজের রীতি প্রচলিত হয়েছে এবং আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক পরিমণ্ডলে উল্লেখযোগ্য মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে এখনো তা বলবৎ রয়েছে।
তবে সময়ের ব্যবধানে ওয়াজে নানা মাত্রিকতার সংযুক্তি ঘটেছে- যা কখনো কখনো ইসলামের কল্যাণ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলই প্রাধান্য পাচ্ছে। ওয়ায়েজিনদের ব্যক্তি-চরিত্র ও আদর্শের ক্ষেত্রেও বিচ্যুতি ঘটেছে। নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে একটি বিষয় উল্লেখ করা এখানে প্রাসঙ্গিক মনে করছি। জনৈক প্রবাসী বিপুল অর্থ ব্যয় করে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করলেন। নিজের আগ্রহ ও এলাকাবাসীর তাগিদে সদ্য নির্মিত মসজিদের প্রথম জুমার নামাজ আদায় উপলক্ষে একজন বিশিষ্ট ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিত ও বিখ্যাত ওয়ায়েজ আলেমকে দাওয়াত করতে ঢাকায় এলেন। ওয়ায়েজ বুঝতে পারলেন মালদার তথা ধনাঢ্য ব্যক্তি তাকে প্রথম জুমার নামাজে ইমামতি ও কিছু ওয়াজ-নসিহত করতে দাওয়াত দিতে এসেছেন; অতিরিক্ত অর্থ সম্মানী হিসেবে হাতিয়ে নেয়ার এটি এক মোক্ষম সুযোগ হিসেবে সেই বক্তা কাজে লাগাতে নিজস্ব কৌশলে অগ্রসর হতে লাগলেন। ডায়েরির পাতা খুলতে খুলতে প্রথমে বললেন, এ দিন অন্যত্র দাওয়াত রয়েছে, কাজেই তিনি যেতে পারছেন না। আগন্তুক ধনকুবের মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দিয়ে অনুনয়-বিনয় করতেই হুজুর একটু নড়েচড়ে বসলেন; আমতা-আমতা করে নিজের দর-দাম আরো অনেকটা বাড়িয়ে নিলেন। বাস্তব সত্য হলো, সেদিন তার আর কোথাও কোনো দাওয়াতই ছিল না। আমি ও আমার এক বড় ভাই এ ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী! আরেক দিনের ঘটনা- আসরের নামাজের জামাত চলছে। মসজিদের পাশ ধরেই আমার গন্তব্য। যেতে যেতে বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, জামাতে উপস্থিত সব মুসল্লি যখন রুকু থেকে সেজদায় চলে গেলেন, ইত্যবসরে বক্তা এদিক-ওদিক তাকিয়ে তার প্রত্যাশিত ব্যক্তি কোথায় আছে তা দেখে নিলেন! কেননা, বাইরেই গাড়ি অপেক্ষা করছে, নামাজ শেষে সফর-সঙ্গীকে নিয়ে দ্রুত যেন তিনি গাড়িতে উঠে যেতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই এই বক্তার নাম-যশ শুনেছি, একটা ভক্তি-শ্রদ্ধার বিষয় ছিল; উপরিউক্ত দুটি ঘটনায় তার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হতে বাধ্য হয়েছি। যদিও অন্যদের কাছে তিনি একজন ওয়ায়েজ হিসেবে সম্মানিত।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন- ‘উদউ ইলা সাবিলি রাব্বিকা বিল হিকমাতি ওয়াল মাউএযাতিল হাসানা’ অর্থাৎ তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের দিকে মানুষকে প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের সঙ্গে আহ্বান করো। হেকমত বা প্রজ্ঞার পূর্ব শর্ত যথার্থ ও পর্যাপ্ত জ্ঞান আর সদুপদেশ প্রদান বা সুন্দরতম নসিহত দানের জন্য জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সমন্বিত নেয়ামত আবশ্যক। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের দেশে বর্তমানে যারা ধর্মের বাণী প্রচারে মশগুল রয়েছেন, ওয়াজ-নসিহত করছেন, ইসলামের নানা বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন- তাদের অধিকাংশেরই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের দৈন্যতা, প্রজ্ঞার অপ্রতুলতা ও সর্বোত্তম পন্থায় সদুপদেশ প্রদানের যোগ্যতায় যথেষ্ট ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যে কারণে আজগুবি কথাবার্তা, নানা ধরনের উদ্ভট ও কাল্পনিক কিস্সা-কাহিনী, রঙ্গ-রসাত্মক আলোচনা, ইসলামের নানা বিষয়ে অপব্যাখ্যা, মনগড়া কথাবার্তা, অবাস্তব ঘটনাবলির বিবরণ, দুর্বল ও অনেক ক্ষেত্রে জাল সনদ সম্পৃক্ত হাদিস-বাণীর জোরালো উল্লেখ, তত্ত্ব ও তথ্য-বিভ্রাট এবং বিরক্তিকর, বিভ্রান্তিকর ও হাস্যস্পদ আলোচনার মাধ্যমে মূলত ইসলামেরই বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন রূপরেখার অপমৃত্যু ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত; শান্তি ও মানবতাবাদী জীবন-বিধান সংবলিত ইসলামের সামগ্রিক বিষয়ে এভাবে অপঘাত চলতে থাকলে এ ধর্মের অনুসারী মুসলমানদেরই যে শুধু অনিষ্ঠ সাধিত হবে তাই নয়, বরং পুরো মানবজাতিকেই এর খেসারত দিতে হবে। কেননা ইসলাম কখনোই সাম্প্রদায়িক ভাবনায় নিজেকে সংকীর্ণ করে তোলে না; এর আবেদন সমগ্র মানবতা ও মানবসভ্যতার জন্যই প্রযোজ্য। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে যারা উপরিউক্ত কায়দায় ওয়াজ-নসিহত করে ধর্মের প্রচার বা খেদমত করছেন বলে পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন, তারা আসলে ওয়াজ নয়, আওয়াজ করছেন, তাদের এসব ওয়াজে ফায়দাহীন আওয়াজই শুধু হচ্ছে।
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন- ‘বাল্লিগু আন্নি ওয়ালাও আয়াহ’ অর্থাৎ আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত বা বাক্য হলেও তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর বাণীগুলোকে সর্বসাধারণের কাছে তুলে ধরতে যেসব কর্ম-পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তার মধ্যে ওয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ; ওয়াজের মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত রূপটি সম্বন্ধে অজস্র মানুষকে অবহিত করা সম্ভব হয়। কিন্তু যেই বক্তা তা বলবেন প্রথমেই সে সম্বন্ধে তার নিজের আমল আবশ্যক; মহান আল্লাহর বাণী- ‘লিমা তাকুলুনা মা লা তাফআলুন’ অর্থাৎ তোমরা এমন কিছু বলো না, যা তোমরা নিজেরাই করো না। ‘আতামুরুনান্নাসা বিল র্বিরি ওয়া তানসাওনা আনফুসাকুম’ অর্থাৎ এটি খুবই ভয়ংকর কথা যে, তোমরা মানুষকে পুণ্যপথের দিকে আদেশ করে থাকো অথচ নিজেদের বেলায় তা বেমালুম ভুলে যাও! সুতরাং বক্তা ইসলামের কথা বলার ক্ষেত্রে এবং তার নিজের ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নের বিষয়ে অধিকতর সচেতন থাকতে হবে; নতুবা তা ওয়াজ নয়, আওয়াজে পর্যবসিত হবে। তদুপরি মহান আল্লাহ ও তদীয় রাসুল (সা.) সম্বন্ধে অসত্য ও দুর্বল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিষয় চালিয়ে দেয়া মারাত্মক অপরাধের পর্যায়ে পড়বে। ইসলামের কোনো বিষয়ে কোনো মিথ্যে বক্তব্য প্রদানকারী নিজের জন্য জাহান্নামের অগ্নিকুণ্ডকেই আবাসস্থল হিসেবে বেছে নেয়। সুতরাং ওয়াজের বেলায় যাবতীয় কথা, বক্তব্য ও ঘটনা ইসলামের মানদণ্ডে সত্য হিসেবে উত্তীর্ণ হতে হবে; সাময়িক আবহ তৈরির রসদ হিসেবে কোনো রসালাপ, বানোয়াট কাহিনী ও বিভ্রান্তিকর বিষয়ের অবতারণা ঘটানো কোনো মতেই ইসলামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ওয়াজ আমাদের দেশীয় মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে গেছে। তাই পরিশুদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও নৈতিক মূল্যবোধের অনবদ্য শিক্ষাকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করাই সময়ের দাবি। প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে যুবক শ্রেণি এমনকি শিশু-কিশোররাও ওয়াজের মাহফিলে উপস্থিত হয়। সুতরাং ধর্মীয় বক্তাদের উচিত সব শ্রেণির দর্শক-শ্রোতার চাহিদা এবং এ থেকে তারা কী শিখবে- সেসব বিষয় খেয়াল রাখা। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা প্রচার-যন্ত্রের বদৌলতে আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করছি বেশ কিছু বিতর্কিত বক্তার নানা মতলবি কর্মকাণ্ড; ওয়াজের পবিত্র মাহফিলে এদের অঙ্গভঙ্গি, কথাবার্তা, সুরের ঢং ও চিৎকারের অবস্থা দেখে অনেককেই সুস্থ ও স্বাভাবিক মনে হয় না। আলেম, ওয়ায়েজ বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব তো দূরের কথা, এমনকি অতি সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও এ ধরনের বাক্যাবলি ও আচার-আচরণ প্রত্যাশিত নয়। ওয়াজের নামে কৌতুক, নানান চলচ্চিত্রের গানের সুরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ সঙ্গীতের বাহারি পরিবেশন, ধর্মীয় ও জাগতিক বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য, নারী বিদ্বেষী আলোচনা, দেশের সংবিধান ও মূলনীতি বিরোধী প্রপাগাণ্ডা, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য অপপ্রয়াস চালানো, যে কাউকে কাফের বলে ফতোয়া প্রদান, বেশি জানা ও শেখার তাকাব্বুরি দেখানো, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য মনগড়া ব্যাখ্যা-সমেত আলোচনা, কেন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য বা বিদ্বেষ ছড়াতে অপ্রত্যাশিত জজ্বার সৃষ্টি করা, নানান বিষয়ে মতপার্থক্যকে আরো জটিল করে উসকে দেয়া- অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসবই চলছে আজ ওয়াজের নামে।
বঙ্গীয় অঞ্চলে ইসলাম প্রবেশের পর থেকেই নিঃস্বার্থ ও নির্লোভ চিত্তের সুফিগণ আপামর জনসাধারণকে তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভিত্তিতে দ্বীন-ধর্ম আর পার্থিব-অপার্থিব বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা পরামর্শ প্রদান করতেন। সুফি-কুতুবদের কথাবার্তায় ও আচার-আচরণে উদার, নৈতিকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা ফুটে উঠত। ঈর্ষা-হিংসার পরিবর্তে তারা মানবসমাজে ভালোবাসা ও প্রেমের জয়গান গেয়েছেন। সৃষ্টিকে ভালোবাসার মাধ্যমে স্রষ্টার ভালোবাসায় উন্নীত হওয়ার প্রয়াস পেয়েছেন। কারো কাছ থেকে কিছু নেয়া ও চাওয়ার পরিবর্তে নিজের যা আছে প্রয়োজনে অকাতরে তা অন্যকে বিলিয়ে দিতেন। ধর্ম-প্রচারের মহান ব্রত নিয়ে তারা কাজ করেছেন শুধু মহান প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে; চুক্তি করে টাকা নেয়া, দাওয়াত পেলে আগন্তুককে বেকায়দায় ফেলে কৌশলে মতলব হাসিল করা এবং ধর্মীয় লেবাস ও জ্ঞান-গরিমাকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জনের কোনো ইতিহাস সুফিদের দর্শন ও বিশ্বাসে ছিল না। সেজন্যই লোকেরা তাদের কথা শুনেছে, কারামতে বিশ্বাস করেছে, তাদের ভক্তি-শ্রদ্ধা করেছে এবং তাদের ইন্তেকালের সময় হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী অতিক্রান্ত হলেও এখনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জনসাধারণের হৃদয়ের গভীর মণিকোটায় তাদের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ও ভক্তি অক্ষুণ্ন রয়েছে। বর্তমানের অধিকাংশ দায়ী ইলাল্লাহর (আল্লাহর পথে আহ্বানকারী) জীবন ও কর্মের গতিপথ সেই ঐতিহ্যের বিপরীতে প্রবহমান বিধায় তাদের ওয়াজ শুধুমাত্র নিষ্ফল আওয়াজে পরিণত হয়েছে; যাতে ইসলামের কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণই বেশি বয়ে আনছে।

ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন : চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক; ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়