আমার বাসায় লাইব্রেরি আছে

আগের সংবাদ

আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই

পরের সংবাদ

সময় দিন নিজেকে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কর্মব্যস্ত জীবনে নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মতো করে বাঁচতে শিখুন!
সময় থাকতে নিজের প্রতি যতœবান হওয়া, ফিরে তাকানোটা দোষের কিছু নয়। কারণ, নিজেকে ঠিক করে চিনতে, ভেতরের আমিটাকে আরও বেশি করে জানতেই নিজেকে ভালোবাসুন। একটু নিজের মতো একলা থাকুন। আনন্দ খুঁজে নিন নিজের মতো করেই। আপনি যখন ভালো থাকবেন, তখনই আপনার চারপাশটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারবেন।

নাজমুল হক ইমন

অতীত নিয়ে ভাববেন না: জীবনে যা–ই ঘটুক না কেন, তার ভিত্তিতে নিজেকে বিচার করবেন না। অতীত দুঃখের কোনো ঘটনা আপনাকে ব্যাখ্যা করে না। এই মুহূর্তে নিজের সম্পর্কে যা ভাবছেন, আপনি আসলে তাই।

তুলনার ঊর্ধ্বে উঠে বাঁচতে শিখুন
অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা এড়িয়ে যাবেন। প্রতিটি মানুষও কিন্তু নিজের মতো করে আলাদা। আর তাই প্রথমেই নিজের শর্তে বাঁচতে শিখুন। কারণ যখনই আপনি নিজেকে ভালোবাসতে শিখবেন, তখনই আপনার মধ্যে বাড়বে আত্মবিশ্বাস। আর নিজেকে ভালোবাসলে তবেই কিন্তু আপনি নিজের জীবন উপভোগ করতে পারবেন। সবসময় সুন্দর বাড়ি, গাড়ি, দেখতে সুন্দর হওয়া মানেই কিন্তু জীবন সুন্দর নয়।

ইচ্ছাগুলোকে প্রাধান্য দিন
নিজেকে ভালো রাখতে চাইলে নিজের ইচ্ছাগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটা খুব জরুরি। নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া মানে স্বার্থপরতা নয়। অনেক সময় দেখা যায়, অন্যের পছন্দকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের ইচ্ছাগুলোকে ভুলে যাই আমরা। এ ক্ষেত্রে নিজের কাছে কোনটার প্রাধান্য বেশি, তা বুঝে নেওয়াটা খুব জরুরি।

প্রকৃতির কাছে যাওয়া

নিজের দুশ্চিন্তাগুলোকে ঝেড়ে ফেলে নতুনভাবে উজ্জীবিত হওয়ার সবচেয়ে সুন্দর সমাধান হচ্ছে প্রকৃতির কাছে নিজেকে ছেড়ে দেওয়া। একা বা দল বেঁধে কয়েক দিন প্রকৃতির কাছে ঘুরে এসেই দেখুন না কেমন চনমনে হয়ে উঠেছে মন।

প্রিয় মানুষদের সংযোগে
পছন্দের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ সব সময় বজায় রাখার চেষ্টা করুন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ্যাট করে নয়, তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখুন। ব্যস্ততার কারণে তা যদি সম্ভব না হয়, তবে কিছুটা সময় বের করে ফোনে কথা বলুন।

চ্যালেঞ্জ গ্রহনে ভয় নয়
জীবন মানেই চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ থেকেই মানুষ শিক্ষা নেয়। প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে তবেই না লড়াই করে বাঁচা যায়। চার দেওয়ালের মধ্যেই জীবন বন্দি নয়। বরং চিনতে শিখুন বিশ্বকে। একা যখনই থাকবেন, তখন অনেক কিছুই নিজেকে একা হাতে সামলাতে হবে।

হেলদি রিলেশনশিপ রাখুন
খুব বেশি মাখোমাখো সম্পর্ক নয়, কিংবা একেবারেই কথা বন্ধ এমনটাও নয়। বরং সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। নিজের কাজ, নিজের জীবনকে গুরুত্ব বেশি দিন। বাকিদের কথায় গুরুত্ব না দিলেও চলবে। কিংবা কোনও বন্ধুকে নিয়ে যদি একটু কম ভাবেন তাহলেও কিছু যাবে আসবে না। বরং নিজেকে ভালোবাসলে সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। তবে যেখানে নিজের সম্মান নেই, সেই সম্পর্ক থেকে কিন্তু আগেই বেরিয়ে আসুন। ভালোবাসার ঊর্ধ্বে হল সম্মান।

সময়ের কাজ সময়ে করা
অন্য সময় করব, এই ভাবনায় না থেকে সময়ের কাজ সময়মতো করে ফেলা উচিত। এতে একসঙ্গে বেশি কাজের চাপ সামলাতে হবে না।

সত্য মেনে নিন
কেউ আপনার বিশ্বাস ভাঙলে বা কটু কথা বললে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। বুকের মধ্যে পাথর সমান বোঝা অনুভব করাও অস্বাভাবিক নয়। সব সময় সবকিছু ঠিক থাকে না। এই সত্যটা মেনে নেওয়ার জন্য নিজেকে সময় দিতে হয়।

বিরতি নিন
কখনো কখনো বিরতি নিতে হয়। গভীর শ্বাস নিয়ে একা একা বিশ্রাম নিতে হয়। খারাপ লাগার অনুভূতি কমলে বুঝতে পারবেন কিছুটা শক্ত হয়েছেন কি না।

নিজেকে ধন্যবাদ দিন
একটি কাজ অনেক দিন ধরে করতে থাকলে মনে হতে পারে, একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। নিজের জীবন নিয়ে আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকলে এমনটা মনে হতেই পারে। তবে চলছেন মানেই ওপরের দিকে যাচ্ছেন। যা শিখছেন তা বৃথা যাচ্ছে না। এত দূর এসেছেন বলে নিজেকে ধন্যবাদ দিন। বেঁচে থাকলে সুদিন আসবেই।

মুহূর্তে বাঁচুন
ছোট ছোট মুহূর্ত জীবনে বড় ফারাক গড়ে দেয়। তাই আনন্দের মুহূর্ত, বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করুন। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হল, উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্য থেকে আনন্দ খুজে নেওয়া। কোনও একটা বিয়েবাড়ি, গেট-টুগেদার, জন্মদিনের পার্টি বা নিদেনপক্ষে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ছোট্ট একটা মজলিশে উপস্থিত থাকতে পারলেই দেখবেন, মন অনেকটা ভাল হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদেরও ভালো লাগার কাজ করবে।

মডেল : অনামিকা আহমেদ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়