চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

মেহেদীর ব্যাটে রংপুর রাইডার্সের সহজ জয়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিনিধি : চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সিলেট পর্ব। সিলেট পর্বের পঞ্চম ম্যাচে গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা ডমিনেটর্স ও রংপুর রাইডার্স। শেখ মেহেদী হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এক ওভার হাতে রেখেই ঢাকাকে পরাজিত করে নুরুল হাসান সোহানের দল। সাত ম্যাচের চারটিতে জয়লাভ করে আগেই তারা টেবিলের চার নম্বরে অবস্থান করছিল। অষ্টম ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা সেরা চারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছে।
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নুরুলরা মাশরাফিদের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছিল। এই ম্যাচেও তারা টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক নাসির হোসেনের মতে ১৬০-১৭০ রান তাদের জন্য ভালো রান ছিল। বিপিএলের শুরু থেকে তার পারফরমেন্সও এমনই। তবে নাসিরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে পারছে না তার দল। শুরু থেকেই তাদের রানের গতি মন্থর ছিল।
কারণ রংপুরের হয়ে ভালো বোলিং দিয়ে ম্যাচ শুরু করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আগের ম্যাচে এক ওভারে তিন উইকেট তুলে তিনি সিলেটকে চাপে ফেলেছিলেন। ঢাকার হয়ে ওপেনিং করতে নেমেছিলেন মিজানুর রহমান ও সৌম্য সরকার। ওমরজাইয়ের সুইং বোলিংয়ে টিকতে পারেনই দুই ওপেনারের একজনও। তার বলে মাত্র ৫ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মিজানুর রহমান। আগের ম্যাচে ফিফটি করা সৌম্য সরকারও এবার মাত্র ১১ রান নিয়ে আউট হন। রংপুরের ম্যাচ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসানও দুর্দান্ত বোলিং করছিলেন। ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ব্লেইককে চার রান নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন তিনি। পাঁচ ওভার শেষে ঢাকার রান ঠেকে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮ রানে।
চতুর্থ জুটিতে পিচে থাকা উসমান ঘানি ও মোহাম্মদ মিঠুন দলের হাল ধরেন। তারা উইকেট হারানোর গতি কমাতে পারলেও বাড়াতে পারেননি রানের গতি। ৩৭ বলে এ জুটি স্কোরবোর্ডে ৪১ রান যোগ করে। রাকিবুল হাসানের বলে স্লগ করতে গিয়ে ১৫ বল খেলে ১৪ রান নেয়া মিঠুন আউট হলে জুটিটি ভাঙ্গে। তারপর অধিনায়ক নাসির হোসেন মাঠে নামলে রানের গতি কিছুটা বাড়ে। ঘানি ও নাসিরের জুটিতে রান যখন উধ্বমুখি তখন ২২ বলে ২৯ রান করে নাসির সাজঘরের পথ ধরেন। ততক্ষণে দলকে এগিয়ে নিতে মাঠে নিজের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছিলেন উসমান ঘানি। পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফের বলকে কাজে লাগিয়ে দলকে তিনি ১৪৪ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। হারিস রউফ চার ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৯ রান যার মধ্যে ৩২ রান দিয়েছেন শেষ দুই ওভারেই।
১৪৫ রানের তাড়া নিয়ে মাঠে নামে রংপুর রাইডার্সের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও রনি তালুকদার। মোহাম্মদ নাঈম ৫ বল অপচয় করে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেন। তবে তিনে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ মেহেদী হাসানের সাথে জুটি বেঁধে পাওয়ার প্লে কাজে লাগান রনি তালুকদার। এই জুটি চার-ছক্কায় দলকে এগিয়ে নিতে শুরু করেন। চতুর্থ ওভারে সালমান ইরশাদের বলে দুটি বাউন্ডারি হাকান রনি। পরের ওভারে স্ট্রাইকে আসা মেহেদী আমির হামজাকে ছক্কায় ওড়ান। অভিজ্ঞ পেসার আল আমিনকেও তিনি ছক্কায় ভাসান। রনির কমে যাওয়া রানের গতি বাড়ে হামজার বলে দুটি চার মেরে। তবে চার মারার পরের বলেই ২৮ বলে ২৯ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন রনি তালুকদার। তার আউটে রনি-মেহেদী জুটি ভাঙ্গে ৪২ বলে ৬৩ রান সংগ্রহ করে। শোয়েব মালিক ব্যাট হাতে মাঠে নেমে বাউন্ডারি হাকান। তবে আশা জাগিয়েও ভালো করতে পারেননি আগের ম্যাচে শূন্য রানে মাঠ ছাড়া এ পাকিস্তানি ক্রিকেটার। সালমান ইরশাদের বলে ৫ বলে ৬ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও অল্পতে ফেরেন সৌম্য সরকারের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। তবে অবস্থান মজবুত করে নেয়া মেহেদী ব্যাট চালানো বন্ধ না করায় রানরেটের চাপে পড়তে হয়নি তাদের। ৩১ বল খেলে এ অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টিতে নিজের সপ্তম ফিফটি স্পর্শ করেন। এর মধ্যে আশি শতাংশ রানই তিনি বাউন্ডারি হাকিয়ে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭২ রান করে তিনি ফেরেন আল আমিনের বলে। জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে তিনি আউট হওয়ার পর বাকি কাজটি করেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও ওমরজাই।
রংপুরের জয়ের নায়ক শেখ মেহেদী হাসানই হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। জয় পর্যন্ত মাঠে থাকতে না পারলেও দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়েছেন তিনিই। ব্যাট হাতে যেমন নিজের দাপট দেখিয়েছেন, তেমনি দাপট দেখিয়েছেন বল হাতেও। তিন ওভার বল করে তিনি খরচ করেছেন মাত্র ১৩ রান, সঙ্গে উইকেটও তুলেছেন একটি। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্স ৫ উইকেটে জয়লাভ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়