চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

একমাস পর পেলেকে নিয়ে স্ত্রীর আবেগঘন বার্তা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন ফুটবল স¤্রাট পেলে। কাতার বিশ্বকাপ চলাকালেও তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। তখন গুঞ্জনও উঠেছিল তার মৃত্যুর। কাতার বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার দশ দিন পর ক্যান্সারের সঙ্গে তার লড়াইও শেষ হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে পারি জমান। তিনি বিদায় নেয়ার একমাস পর তার বিধবা স্ত্রী মার্সিয়া আওকির লিখা একটি আবেগঘন বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
মার্সিয়ার বার্তাটি প্রকাশিত হয়েছে বিদায়ী পেলের টুইটার একাউন্ট থেকে। তার বার্তার মাধ্যমে বোঝা যায় স্বামীকে হারিয়ে কতটা ভেঙে পড়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘যাকে আমি ভালোবাসি, তাকে বিদায় বলা। আমার জীবনের কারণ ছিলেন আপনি। আপনার স্নেহ, পরিপূর্ণ ভালোবাসা, যতœ ও হাস্যরসে ভরে দিয়েছেন আমার জীবন।
আপনাকে পাশে না পাওয়ায় অভ্যস্ত হতে আরো সময় লাগবে আমার। আমি চেয়েছিলাম আরো কয়েকটা দিন আপনার সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময় করতে। আরো কয়েকটা দিন আমাদের কুকুর ছানা ক্যাকাউকে নিয়ে খেলতে।’ পেলের ভালোবাসাকে স্মরণ করে তিনি আরো লিখেছেন, ‘অনেক দিন ধরে একটা কথা শোনার অপেক্ষা করছি, ‘মার্সিয়া, আমার ভালোবাসা, শুভ সকাল! দেখো আজকের সমুদ্রটা কী সুন্দর!’ জানি আমাদের জন্য এটা অনিবার্য নিয়তি, কিন্তু যখনই এই অনুভূতির মুহূর্ত তৈরি হচ্ছে, তখনই একটা শূন্যতা আর বুকে হাহাকার অনুভব হচ্ছে।’ মার্সিয়ার এ বার্তায় পুরো বিশ্বের প্রতি তিনি দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘একই সাথে, আমার এই ব্যথা পুরো বিশ্বের সঙ্গে ভাগাভাগি হওয়ায় কৃতজ্ঞতার একটা শক্তিশালী অনুভূতি হচ্ছে। আমরা লাখ লাখ ভালোবাসা ও সংহতির বার্তা পেয়েছি যে আমার হৃদয় শান্তি ও স্বস্তিতে পরিপূর্ণ।’
অসাধারণ ফুটবল খেলার কারণেই পেলে হয়ে উঠেছিলেন ফুটবল স¤্রাট। তাই তার ভক্তের সংখ্যাও অগণিত। কোনো ফুটবলপ্রেমী তার ভক্ত না হতে পারলেও তাকে ঘৃণা করেননি। পেলের কোটি কোটি ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে তার স্ত্রী লিখেছেন, ‘এখনো তাকে যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন, তাদের প্রত্যেককে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই সান্তোস ফুটবল ক্লাব ও সান্তোস শহরকেও। কঠিন সময়ে তারা আমাদের সমর্থন দিয়েছে। এডসনের সঙ্গে আমার জীবন ভাগাভাগি করা ছিল একটি সত্যিকারের ভালোবাসার গল্প লেখার সুযোগ।
পেলের ভালোবাসা আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করাও দারুণ। এই ভালোবাসার মৃত্যু নেই এবং আমরা সবসময় আপনাদের মধ্যেই বেঁচে থাকব।’
ব্রাজিলের এক বস্তিতে ১৯৪০ সালে জন্ম হয়েছিল পেলের। দারিদ্র্যের কারণে ছোট বয়সে চায়ের দোকানে কাজ নিতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু তার হৃদয়ে ছিল ফুটবল। ব্রাজিলের আর দশটা সাধারণ ছেলের মতোই গলির ফুটবল ছিল তার অবসরের সঙ্গী। কিন্তু সত্যিকারের ফুটবল কেনার সামর্থ্য না থাকায় মোজার ভেতরে খবরের কাগজ ঠেসে বানানো ফুটবল দিয়ে এ প্রতিভাবান ফুটবলারের অনুশীলন চলত। তার প্রতিভা চোখে পড়ে সান্তোসের কিংবদন্তি ওয়ালদেমার ডি ব্রিতোর। ১৫ বছর বয়সি পেলেকে গলি থেকে উঠিয়ে সান্তোসে নিয়ে যান তিনি। এরপর আর পেলেকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ব্রাজিলের হয়ে ১৯৫৮ সালে ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জয় করেন তিনি। ওই আসরের সেমিফাইনালে তিনি ফ্রান্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। পরপর চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা এ খেলোয়াড় শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তিনবার। তিনবার বিশ্বকাপ জয় করা একমাত্র ফুটবলার তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়