মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৭০

আগের সংবাদ

রাজশাহীর জনসভায় শেখ হাসিনা : আ.লীগ কখনো পালায় না

পরের সংবাদ

৩২ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আজ রাজশাহী সফরে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণের জন্য অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে রাজশাহীবাসীর। দীর্ঘ ৫ বছর পর আজ রবিবার নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি। এরই মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠ পরিদর্শন করেছেন। গতকাল পরিদর্শন করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজশাহী নগরীর দলীয় কার্যালয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষ এই জনসভায় অংশ নেবেন বলে আমরা আশা করছি। বিভিন্ন রংয়ের পোশাক আর টুপিতে রঙিন হয়ে উঠবে পুরো মাঠ। রাজশাহীর জন্য তিনি যা করেছেন তার জন্য জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, ধন্যবাদ জানাতে চাই আমরা। সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি জোট করে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেটি না করে বিশৃঙ্খলা করলে অতীতের মতো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আমরা খেলে জিততে চাই।
তিনি বলেন, একমাত্র পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সকারের অধীনে ভোট হয়। বিএনপি তো পাকিস্তানকে অনুকরণ করে, তাই তারা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। কিন্তু দেশে সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইভিএমে ভোট হয়। সে কারণে এটা আমাদের দাবি ছিল। কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প পাস করে ইভিএম কেনা এখন ঠিক হবে না। ফলে বাস্তবতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সব আসনে ইভিএম দিতে পারছে না। নির্বাচন কমিশন যত আসনে ইভিএম দেবে আমরা মেনে নেব।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বিকালে নগরীতে মিছিল ও পথসভা করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়। নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিল আবারো দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কার্স পার্টি, যুবমৈত্রী, নারী মুক্তি সংসদ ও ছাত্রমৈত্রীর নেতাকর্মী হাতে লাল পতাকা নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- জেলা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল হক তোতা প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এ জনসভায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটবে। রাজশাহী ছাড়াও বিভাগের সব জেলা থেকে নেতাকর্মী সমাগমের প্রস্তুতি চলছে। শুধু জনসভাস্থলই নয়, পুরো মহানগরী লোকে লোকারণ্য থাকবে।
জানা গেছে, আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। এছাড়া রাজশাহীর ৩২ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকালে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।
দলীয় প্রধানের আগমনকে ঘিরে উল্লসিত নেতাকর্মী। সব পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যেই চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। আর প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে পাড়ায় পাড়ায় চলেছে প্রস্তুতি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে করা হয়েছে বর্ধিত সভা। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে জনসভায় যোগদানের জন্য বিপুলসংখ্যক বাস, ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে। ট্রেনেও আসছেন নেতাকর্মী।
দলীয় সূত্র বলছে, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা থেকে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে নেতাকর্মী জনসভায় যোগ দেবেন। কোন নেতার নেতৃত্বে কতটি গাড়ি রাজশাহীতে আসবে সেই তালিকাও করা হয়েছে। জেলার নেতারা উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সফরে গিয়ে এ মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়