মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৭০

আগের সংবাদ

রাজশাহীর জনসভায় শেখ হাসিনা : আ.লীগ কখনো পালায় না

পরের সংবাদ

মান্দায় বয়স্ক ভাতার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আবু বকর সিদ্দিক, নওগাঁ থেকে : নওগাঁর মান্দায় বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে রেজাউল করিম ও তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর শাহানাপাড়া গ্রামের আছির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রেজাউল ইসলাম এবং তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ বিভিন্ন সময়ে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতার কার্ড করে দেয়া এবং চাকরি দেয়ার কথা বলে গ্রামের একাধিক গরিব অসহায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। অভিযোগকারী উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের হাফেজ উদ্দিনের স্ত্রী বিলকিস বেগম এবং একই গ্রামের ওহির সরদারের ছেলে ঠুনু সরদার। অভিযোগকারী ঠুনু সরদার বলেন, বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে রেজাউল এবং তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছেন। অথচ এখনো কার্ড করে দেয়নি। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
বিলকিস বেগম বলেন, রেজাউল ইসলাম এজ্জুল এবং তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ আমার কাছ থেকে কয়েক বছর আগে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকাসহ এলাকার একাধিক নারীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। তারা বলেন, আমাদের ভাতার কার্ড করে দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। তাদের কাছে আমাদের পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারা গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। আরো বলে তোদেরকে কোনো টাকা দেয়া যাবে না, এতে যদি ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ করা লাগে তাও করতে রাজি আছি কিন্তু কোনো টাকা ফেরত দেয়া যাবে না। তোমাদের যা করার আছে, করো। এলাকায় তাদের দাপটে আমরা খুব অসহায়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই এবং আমাদের পাওনা টাকা ফেরত চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘হামি গরিব মানুষ। খুব কষ্টে করা ব্যাঁচা আচি। ভাতার কার্ডের জন্য মানষক থ্যাকা সুদের উপর ট্যাকা লিয়্যা পারভেজক দিচি। এ্যাডা লিয়া হামাকে সংসারত একন চরম অশান্তি চলোচে। ওরকক থ্যাকা এ্যাকন ট্যাকা চালেই ওরা দুই বাপ-বেটা হামাকক হুমকি দেয়’। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বলেন, আমরা কারো কাছে থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়