‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

বিপিএল এবার সিলেটে : আলো ছড়াচ্ছেন মাশরাফি-নাসির

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চট্টগ্রামপর্ব শেষ করে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার মাটিতে ফিরেছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের খেলা। দুদিনে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ঢাকায় বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শেষ হলো গত পরশু। আগামীকাল থেকে সিলেটের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্ট। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সিলেটে খেলা হবে, এরপর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি আবার ঢাকায় ফিরবে বিপিএল। ঘরের মাঠে দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে সিলেট স্ট্রাইকার্স। খেলা থেকে দূরে থেকেও সিলেটের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। জাতীয় দলের বাইরে থাকা আরেক খেলোয়াড় নাসির হোসেনও ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ভালো খেলছেন।
ঢাকায় দুটি পর্ব এবং চট্টগ্রামে একপর্ব খেলা শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচ খেলেছে সাতটি করে। অ্যদিকে রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স খেলেছে ৬টি ম্যাচ এবং ঢাকা ডমিনেটর্স খেলেছে সব দলের চেয়ে বেশি- ৮টি ম্যাচ। ঢাকার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেও সেরা তিনে আছে সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লা। সাত ম্যাচের মাত্র একটিতে পরাজিত হয়ে মাশরাফি-মুশফিকদের সিলেট স্ট্রাইকার্স ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে। সাত ম্যাচের পাঁচটিতে জয়লাভ করেছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। পয়েন্ট টেবিলে ১০ পয়েন্ট যোগে এ দল আছে দ্বিতীয় স্থানে। টানা তিন পরাজয় দিয়ে বিপিএল শুরু করা চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পরের চার ম্যাচে তাদের জয়রথ ধরে রেখেছে। মোট তিন পর্ব খেলা শেষে তাদের পয়েন্ট ৮। তারা পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে আছে। চতুর্থ স্থানে থাকা রংপুর রাইডার্স ছয় ম্যাচের তিনটিতে জেতায় তাদের পয়েন্ট ৬। বাকি তিন দল খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রামের পয়েন্ট ৪। সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রানরেটে এগিয়ে খুলনা টাইগার্সের অবস্থান পঞ্চম স্থানে, ঢাকা ডমিনেটর্স ছয়ে এবং তলানিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
দীর্ঘদিন খেলা থেকে দূরে ছিলেন মাশরাফি। বিপিএলের কয়েক দিন আগে মাঠে নেমেছেন অনুশীলনের জন্য। তবে নিজের পূর্বাভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিজের দল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করে নিজেদের টেবিলের শীর্ষে নিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর তাদের অবস্থানের অবনতি হয়নি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়েও তিনি শিরোপা জিতেছিলেন। এবার আরেকটি শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে আছেন তিনি। সাত ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছেন বল হাতে। এ আসরে তিনি ২৩ ওভার বল করে ১৭৭ রান খরচে তুলে নিয়েছেন ৯টি উইকেট। অন্যদিকে নাসির হোসেনও নিজের প্রতিভা ভালোভাবেই প্রতিফলিত করছেন। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। আট ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৯১ রান। অপরাজিত ছিলেন তিনটি ইনিংসে। বিপিএলের এ আসরে তার সর্বোচ্চ রান ৬৬। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও তিনি নিজের দাপট দেখিয়েছেন। সর্বোচ্চ উইকেট তোলা খেলোয়াড়ের তালিকায়ও তিনি দ্বিতীয় স্থানে আছেন। আট ম্যাচের সাত ইনিংসে তিনি বল হাতে তুলেছেন ১১টি উইকেট। ২১ ওভার বল করে তিনি ১৫২ রান খরচ করেছেন। নিজে ভালো খেললেও তার দলের খারাপ পারফরম্যান্সে শিরোপার স্বপ্ন থেকে অনেক দূরে আছেন তিনি।
বিপিএলের এ আসরে ক্রিকেট বিশ্বের তারকাদের সংখ্যা কম হলেও বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছিলেন পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার। বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারাও অনেক ভালো ভূমিকা রাখছিলেন নিজের দলকে এগিয়ে রাখতে। তবে ঢাকায় তৃতীয় পর্বের খেলা শুরু হওয়ার আগেই তাদের ডেকে পাঠিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। প্রতিটি দলেই এবার একাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার আছেন। সিলেটপর্ব শুরুর আগে বিপিএলের এ আসরে তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে। এই তিনটি সেঞ্চুরিই করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটও পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজের।
বিপিএলের এ আসরে কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শুরু থেকেই খেলছেন। কয়েকজন আন্তর্জাতিক চাপ শেষ করে পরে যোগ দিয়েছেন। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান বাংলাদেশে আসার রাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলে পরদিন ঢাকায় নামেন।
এরপর হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম গিয়ে মাঠেও নেমে যান। রংপুরে নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসানের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্বও করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক।
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিপিএল ছাড়তে বলার মূল কারণ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। পিসিবি এ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগের আগামী মৌসুমের সূচি গত ২০ জানুয়ারি প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অনুরোধে বিপিএল থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ডেকে পাঠাচ্ছে পিসিবি। আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বিপিএল ছাড়তে বলা হয়েছে তাদের। এবার বিপিএলে সবচেয়ে বেশি পাঁচজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার আছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়