‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

এসি মিলানকে উড়িয়ে পয়েন্ট পেল ল্যাজিও

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সিরি আ’র ম্যাচে গত মঙ্গলবার রাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল এসি মিলানের মুখোমুখি হয়েছিল ল্যাজিও। পুরো ম্যাচে সমান তালে খেললেও ম্যাচশেষে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এসি মিলানের সঙ্গে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে পয়েন্ট টেবিলে ৩ পয়েন্ট যোগ করেছে ল্যাজিও।
ম্যাচের শুরু থেকে প্রায় সমান হারে বল দখলে রেখেছে দুই দল। এসি মিলানের খেলোয়াড়দের পায়ে বল ছিল ম্যাচের প্রায় ৫১ শতাংশ সময়েই। তারপরও তাদের পারফরম্যান্স ছিল এ মৌসুমের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। বল দখল থেকে আক্রমণ সমান তালে করলেও বক্সে ঢুকে ভালোভাবে ফিনিশিংয়ের অভাবেই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে মিলানকে। ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র তিন মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগ পায় ল্যাজিও। সে সুযোগ হাতছাড়া করেননি সার্গে মিলিনকোভিচ সাভিচ। প্রথম সুযোগেই জালের দেখা পান তিনি। তার গোলে তিন মিনিটেই ম্যাচের লিডে যায় ল্যাজিও। তারপর মিলান গোল হজমের শোধ নেয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। জালের দেখা পাওয়ার চেষ্টায় থাকা মিলান দ্বিতীয় গোল হজম করে ৩৮ মিনিটে। মাত্তিয়া জাক্কাগানির পা থেকে গোল এলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। প্রথমার্ধ শেষে জয় প্রায় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন জাক্কাগানিরা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হলে আবার শুরু হয় আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণ। ৬৫ মিনিটের সময় ল্যাজিওর খেলোয়াড় পেদ্রো আক্রমণে গেলে ডি বক্সের ভেতর তাকে ফাউল করেন মিলানের কালুলু। রেফারি ল্যাজিওর পক্ষে পেনাল্টি ঘোষণা করেন। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে লুইস আলবার্তো পেনাল্টি শট নিয়ে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ম্যাচের শেষ গোলটি হয় ৭৫ মিনিটে। মিলান শিবিরে শেষ আক্রমণ করে জালে বল জড়ান ফিলিপ এন্ডারসন।
ম্যাচটিতে গোলের দেখা পেতে দুই দলই দশটি করে শট নিয়েছিল। তবে মিলানের দশটি শটের সাতটিই ছিল লক্ষ্যহীন। ল্যাজিওর দশটি শটের পাঁচটিই ছিল লক্ষ্যে, যার তিনটিতে বল জালে জড়িয়েছে। পাস একুরেসিতেও মিলান ল্যাজিওর কাছে পিছিয়ে ছিল। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ল্যাজিও সিরি আ লিগের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইন্টার মিলান ও রোমার চেয়ে এগিয়ে আছে এ দল। তবে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েও এক পয়েন্টে এসি মিলানের চেয়ে পিছিয়ে আছে লুইস আলবার্তোরা।
ল্যাজিওর কোচ মরিজিও সারির অধীনে ভবিষ্যতে শিরোপা জয় সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন মিলিনকোভিচ সাভিচ। ম্যাচশেষে সার্বিয়ান এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘গত কয়েক ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলেছি তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে আমরা অনেক দূর যেতে পারব। আমরা যদি চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে এভাবে খেলতে পারি তাহলে কেন লিগ শিরোপা জয় করতে পারব না।’
মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা নাপোলির চেয়ে ১২ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে মিলান। লিগে টানা তিন ম্যাচে মিলান কোনো জয়ের দেখা পায়নি। এ সুযোগে নাপোলি তাদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে আরো তিনটি দল দ্বিতীয় স্থানের এসি মিলানের সঙ্গে লড়াই করছে। তাদের মধ্যে একটি হলো গত ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পাওয়া ল্যাজিও। ইনফর্ম আটলান্টা দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে, তারাও ভালোভাবেই শীর্ষ চারে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রান্সফার বিষয়ে অস্বচ্ছতার কারণে ১৫ পয়েন্ট জরিমানা করা হয়েছে জুভেন্টাসের। নাহলে তুরিনের জায়ান্টদের থেকে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকতে হতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
মিলান কোচ স্টিফানো পিওলি বলেন, ‘এই মুহূর্তে অনেক কিছুই প্রত্যাশা মাফিক হচ্ছে না। মানসিক ও কৌশলগত দিক থেকে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। কারণ এমন একটি পরিস্থিতিতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, যা বেশ অস্বস্তিকর। আজকের ম্যাচে প্রথম দুটি গোল অবশ্যই ভিন্নভাবে আমাদের প্রতিরোধ করা উচিত ছিল। কিন্তু কোনোকিছুই আমাদের পক্ষে কাজ করছে না। আমরা যেমন খেলে থাকি সেই ধারায় দ্রুতই ফিরে আসতে হবে। এটাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব তা করার চেষ্টা করতে হবে।’
মরিজিও সারির দল তাদের তারকা স্ট্রাইকার সিরো ইমোবিলেকে দলে পায়নি। বিন্তু মিলানের রক্ষণভাগকে বারবার ভাঙতে তাদের কোনো সমস্যাই হয়নি। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ পাঁচ ম্যাচে মিলান ১২ গোল হজম করেছে। ম্যাচের শুরুতেই ফ্রান্সের থিও হার্নান্দেজকে হারায় মিলান। ২৪ মিনিটে ইনজুরিতে পড়েন সেন্টার-ব্যাক ফিকায়ো টোমোরি। স্টপেজ টাইমে ফুলব্যাক ডেভিড কালাব্রিয়াও ইনজুরিতে পড়েছেন। ইনজুরির এই ঘটনাগুলো মিলানের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে। মিলান ডার্বি অনুষ্ঠিত হতে ১৫ দিনেরও কম সময় বাকি রয়েছে। গত সপ্তাহে সুপার কাপে ইন্টার মিলানের কাছেও পরাজিত হয়েছিল এসি মিলান। এছাড়া টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচটিও আসন্ন। সব মিলিয়ে মিলানকে এখন নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার দিকে বেশি মনোযোগী
হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়