ভ্রাম্যমাণ আদালত : বাকেরগঞ্জে তিন দোকানদারকে জরিমানা

আগের সংবাদ

নতুন শিক্ষাক্রম বুঝতে নোট-গাইড চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা : শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, লাগবে না

পরের সংবাদ

আগামীর তারকা ইগা সোয়াটেক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফেভারিট হিসেবে আসর শুরু করেছিলেন মেয়েদের টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ইগা সোয়াটেক। প্রথম তিন রাউন্ডে তুলে নিয়েছিলেন দাপুটে জয়। তবে চতুর্থ রাউন্ডে মেলবোর্ন পার্কে তাকে ৬-৪, ৬-৪ সেটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেন রাবিকিনা। প্রথম সেটে হেরে যান ৬-৪ ব্যবধানে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি টেনিস নাম্বার ওয়ান। দ্বিতীয় সেটেও হেরে যান ৬-৪ ব্যবধানে। ফলে স্বপ্নভঙ্গ হয় এই তারকার।
এর আগে মাত্র ২১ বছর বয়সেই একটি ফ্রেঞ্চ ওপেন আর একটি ইউএস ওপেন জিতেছিলেন তিনি। জয় করেছেন তিনটি গ্র্যান্ড সøাম। এবার প্রত্যাশা ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতবেন তিনি। তবে স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তার। গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে কোকো গাফকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিলেন তিনি। শীর্ষ দশ বাছাইয়ের অন্যরা হার মানলেও নাম্বার ওয়ান সোয়াটেক লড়েছেন রাজকীয় কায়দায়। যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছরের টেনিস সেনসেশনের স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে ৬-১ ও ৬-৩ গেমে সরাসরি সেটে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো লাল দুর্গে চ্যাম্পিয়ন হন এই পোলিশ। এরপর ইউএস ওপেনেও চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ফাইনালে স্ট্রেট সেটে ৬-২, ৭-৬ (৭-৫) ব্যবধানে হারান তিউনিশিয়ার ওন্স জাবেউরকে। সোয়াটেকের বাবা টমাস একজন অবসরপ্রাপ্ত অলিম্পিক রোয়ার ছিলেন। জুনিয়র হিসেবে ২০১৮ ফ্রেঞ্চ ওপেন গার্লস ডাবলে ক্যাটি ম্যাকন্যালির সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। এরপর ২০১৮ সালেই উইম্বলডন গার্লস একক চ্যাম্পিয়ন হন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি নিয়মিত খেলা শুরু করেন। ২০১৯ ফ্রেঞ্চ ওপেনে চতুর্থ রাউন্ডে উপস্থিতির পর ১৮ বছর বয়সে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৫০-এ প্রবেশ করেন। ইতালিয়ান ওপেন জেতার পর তিনি ২০২১ সালের মে মাসে প্রথমবার র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে প্রবেশ করেন। ২১ মার্চ ২০২২-এ ক্যারিয়ার সেরা র‌্যাঙ্কিং ২-এ আসেন তিতি। পরবর্তীতে বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকা অ্যাশলে বার্টির অবসর নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি র‌্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর হন। তিনি বেসলাইন থেকে ড্রপ শট নিয়ে ২০১৯ সালে ফ্যান ফেভারিট শট অব দ্য ইয়ার জিতেছিলেন এবং ২০২০ সালে ফ্যান ফেভারিট সিঙ্গেল প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন। তিনি ২০২৩ সালের পোলিশ স্পোর্টস পার্সোনালিটি অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন। এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সাফল্য না পেলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী তিনি। রাবিকিনার কাছে হারের পর তিনি বলেন, নিশ্চিত করেই দুটি সপ্তাহ আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। আমি হয়তো একটু বেশিই প্রত্যাশা করে ফেলেছিলাম। আমি চাপ অনুভব করেছি।
– কাগজ ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়