মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ঝুপড়িগুলো পুড়ে ছারখার : তুমব্রু সীমান্তে টানা ৩ দিনের গোলাগুলিতে আতঙ্কে স্থানীয়রা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) থেকে : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে গত বুধবার থেকে টানা তিনদিন ধরে গোলাগুলিতে সীমান্তে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে উৎকন্ঠা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল শনিবারও ভোর থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করছেন না।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তের গোলাগুলি গত বছর শুরু হয়েছে। তখন ঘটনা ঘটেছিল মিয়ানমারের ভূখণ্ডে। এখন সীমান্তের গা ঘেঁষে জিরো পয়েন্টে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তাও মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের মধ্যে। তবে খবর পাওয়া যাচ্ছে, মিয়ানমারের ইয়াবা আর গরুর চোরাচালান নিয়ে চাঁদা আদায়ের আধিপত্য বিস্তারের এসব গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, মিয়ানমারের আরাকানের স্বাধীনতাকামী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন ও বিচ্ছিন্নবাদী আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার থেকে গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এসব গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গোলাগুলি চলছিল। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত আর দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতরা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার দ্বিতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জিরো লাইনের রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পর দুবৃত্তরা জিরো লাইনের বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ঝুপড়িগুলো পুড়িয়ে দেয়। এরপর থেকেই সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো। নিরাপত্তায় সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে এছাড়া সেখানে র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপরও চলমান ঘটনায় গত শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ফের গোলাগুলির শুনতে পান সীমান্তের লোকজন। এ সময় গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুমে রাত পার করেন সীমান্তবাসীরা।
শিবিরে আগুন আর দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু স্কুল ও আশপাশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব জায়গাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দ্রুতগতিতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসব রোহিঙ্গাদের নতুন করে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়ার আশা করছে

এলাকাবাসী। কারণ বেশি দিন সময় নিলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বেঘাত ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বুধবার সকালে মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাধী রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষে হামিদ উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত ও মোহিদ উল্লাহ এবং এক ১২ বছরের শিশু আহত হয়। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে প্রায় ৮৫% শতাংশ ঝুপড়ি ঘর পুড়ে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়