মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন : সূর্য্য, রিন্টু ও জেমস সভাপতি, শিপন সম্পাদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন তিন সভাপতি হয়েছেন সুদীপ্ত সরকার সূর্য্য, রিন্টু বড়–য়া ও জেম্স রিসার্চ খাগড়া। আগের কমিটির আহ্বায়ক শিপন বাড়াইক এবারো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শনিবার ছাত্র ঐক্য পরিষদের দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিডিয়া কমপ্লেক্স মিলনায়তনে। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয় বলে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ ভোরের কাগজকে নিশ্চিত করেন।
শনিবার এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত।
‘সর্বজনীন শিক্ষা চাই, সাম্প্রদায়িকতার অবসান চাই’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ছিল অসাম্প্রদায়িক সংবিধান। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে সাম্প্রদায়িক করা হয়েছে। এখন যদি সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করা যায় তাহলে দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটবে। এটা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। তিনি ধর্মীয় বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর কাজ করছেন। কিন্তু তাকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। এজন্য আমাদের ঐক্যের দরকার। তিনি বলেন, আমাদের সবার চোখ আছে, হাত আছে, মুখ আছে। আপাতদৃষ্টিতে আমরা সবাই মানুষ। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু অমানুষ আছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সম্মানীত অতিথির বক্তৃতায় ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, অধিকার আদায়ে সংগঠনের আন্দোলন বড় ভূমিকা রাখে। তিনি ছাত্রদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে সংগঠনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করা সম্ভব। এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, সাবেক সহসভাপতি এডভোকেট তাপস কুমার পাল, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক প্রাণতোষ আচার্য্য শিবু ও সহছাত্রবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক সুমনা গুপ্তা বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভাশেষে সম্মেলন প্রাঙ্গণে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। প্রথা অনুযায়ী তিন ধর্মীয় স¤প্রদায় থেকে তিনজন সভাপতি হন। সাধারণ সম্পাদক হন শিপন বাড়াইক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়