সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

ভিউ বাণিজ্যে আটকে নাটক : কী ভাবছেন তরুণ অভিনয়শিল্পীরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এখন আর সেরকমভাবে তৈরি হয় না সামাজিক গল্পের নাটক। হলেও সংখ্যায় খুব হাতেগোনা। বাংলা নাটকে দেখা যাচ্ছে অসামাজিক সব সংলাপ আর অঙ্গভঙ্গি। যার ফলে বিনোদনের সুস্থ ধারা হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ। এ ব্যাপারে এই প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীরা কী ভাবছেন? তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সোহানুর রহমান সোহাগ

শ্যামল মাওলা
আমি আমার দায়িত্ববোধ ও দায়বদ্ধতা থেকে এ রকম নাটক কখনো করিনি। সেরকম সবারই উচিত নিজের দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করা। তবে এখন দর্শকরা পরিবার ছাড়া নিজস্বভাবেই নাটক দেখে অভ্যস্ত হয়েছে। ফলে দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে এসব নাটক। এখনো তৈরি হচ্ছে পারিবারিক নাটক তেমনি দর্শকদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে এসব নাটকও তৈরি হয়। নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই পরিবর্তন সম্ভব।

কাজী নওশাবা আহমেদ
অভিনয়শিল্পীদের দায়বদ্ধতা থাকা উচিত না। তারা মুক্ত মনে কাজ করবে। সাধারণত বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকেই অনুপ্ররেণা পেয়েই তৈরি হয় নাটক। তবে তারও কিছু কিছু ব্যতিক্রম থাকে। যার ফলে এসব নাটক তৈরি হয়। যার যখন ইচ্ছে হচ্ছে সেই পরিচালক, অভিনয় শিল্পী হচ্ছেন। যার ফলে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এ বিষয়ে মনিটরিং থাকা দরকার যাতে মিনিমাম একটা যোগ্যতা ছাড়া এ রকম নাটক তৈরি বা অভিনয় না করতে পারে। প্ল্যাটফর্মগুলো ঠিক হলেই সব সমস্যার সমাধান ঘটবে।

শিপন মিত্র
সবার দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকেই সবার সতর্ক হওয়া উচিত। শুধু অভিনয়শিল্পীদের দায়বদ্ধতা থাকলে এসব কখনো ঠিক হবে না। এছাড়া দর্শকদেরও দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। এসব নাটক দেখা থেকে বিরত থাকা উচিত। সব শিল্পীই কিন্তু এ রকম নাটকে অভিনয় করেন না। সিনিয়র শিল্পীরা এখনো সেরকম কাজ করছে আগে যেরকম কাজ তৈরি হতো। তবে সামাজিক মাধ্যমগুলোর অপব্যবহার আর ভিউ চাহিদা করে নিয়মিত এসব নাটক তৈরি হচ্ছে। সবার দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে এসে অভিনয়শিল্পী, দর্শক ও পরিচালকদের উচিত ভিউ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। সবাই যেদিন একত্রিত হবে সেদিনই পরিবর্তন হবে এমন সময়ের।

আরশ খান
তখনকার সময়ে প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা ছিল কম। যেজন্য এক ঘরানার নাটক তৈরি হতো কিন্তু এখন প্ল্যাটফর্মের কোনো শেষ নেই। ফলে স্বীকৃতি পাওয়া ও স্বীকৃতি না পাওয়া সবাই এখন নাটকে অভিনয় করছে এবং নাটক তৈরি করছে তার ফলে বিভিন্ন ঘরানার নাটক তৈরি হচ্ছে। ভিউ বাণিজ্যের ফলে এখন যাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব উপস্থিত তারাও নাটকে অভিনয় করছে। সেজন্যই এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হচ্ছে। অভিনয় শিল্পীদের অবশ্যই দায়বদ্ধতা আছে। তাই অভিনয় শিল্পীদের গল্প দেখেই কাজ করা উচিত। তবে এখানে দর্শকদের চাহিদাও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ তারা যেমন গল্প চায় তেমনটাই নির্মাণ হচ্ছে। দর্শকদেরও চাহিদার পরিবর্তন জরুরি।

প্রিয়াঙ্কা জামান
দর্শকদের প্রতি শিল্পীদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে। সবচেয়ে বেশি দায়বদ্ধতা আছে নির্মাতাদের। এসব নাটক থেকে উত্তরণের পথ একটা- আমাদের অভিনয় শিল্পীদের ভালো ভালো গল্পে কাজ করতে হবে। যাদের গল্প দেখার সুযোগ থাকে তারা যদি এসব কাজ করতে আগ্রহ না দেখায় তবে কখনো সম্ভব না এসব কাজ তৈরি হওয়া। তবে এখন ইউটিউব এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের কারণে বাংলা নাটক বিকশিত হয়েছে। সবাই একত্রিত হলেই সম্ভব এই অবস্থা থেকে উত্তরণ। আমি স্বপ্ন দেখি আবার বাংলা নাটকের সোনালি দিন আসবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়