সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

কে এম খালিদ : বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক এক সূত্রে গাঁথা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হিমালয়কন্যা নেপালে নানা ধর্ম, বর্ণ ও কৃষ্টির মানুষ বসবাস করে। একইভাবে আমাদের বাংলাদেশেও নানা ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। বাংলাদেশ ও নেপালের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। তেমনি দুই দেশের সম্পর্কও একই সূত্রে গাঁথা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বাংলাদেশ বুক ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’র সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বুক ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ুদ মান্নান এবং বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি লায়ন মশিউর আহমেদ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কে এম খালিদ আরো বলেন, ভারত, নেপাল ও ভুটান একই সূত্রে গাঁথা। ঐতিহাসিকভাবে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ভারত ও ভুটান যেভাবে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে, একইভাবে নেপালও সপ্তম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স¤প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার অনন্য নিদর্শন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের অভিভাবকদের শুধু চিত্রাঙ্কন নয়, সংস্কৃতির অন্যান্য শাখায়ও তাদের সন্তানদের অংশগ্রহণ ও চর্চার আহবান জানান।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি বলেন, ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপর থেকেই অর্থনীতি, যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমপ্রসারমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শিল্প, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস ও জীবনধারায় সাদৃশ্য রয়েছে। এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক বহন করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়