আইনমন্ত্রী : মানবাধিকারের উন্নতি হওয়ায় র‌্যাব নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গি একাকার : স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যোগসাজস, দুর্গম হওয়ায় অভিযান চালানো কঠিন

পরের সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী : অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য তহবিল সংগ্রহ করুন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের (প্রাক্তন ছাত্র সমিতির) মাধ্যমে আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয়ের) নিজস্ব তহবিল বাড়ান। গতকাল তিনি তার নিজস্ব বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি কাউন্সিলের (বিইউসি) স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বিইউসি গঠন করা হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৪৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনুষ্ঠানে উপাচার্যরা তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী এসব সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেন।
শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ভাইস চ্যান্সেলরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নে কাজের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী, তাদের একটু সুযোগ করে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করে বিদেশ থেকেও তারা উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসতে পারে।
ছাত্র-ছাত্রীদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আরো দায়িত্বশীল ও মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সোনার ছেলে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে সে লক্ষ্যে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ও সৃজনশীল কাজের মধ্যে তাদের যুক্ত রাখতে হবে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আবার চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল, তবে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই। দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা পড়ালেখা করে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই যেন উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের চাকরি দিতে পারে সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখন দেশে শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার উন্নয়ন, গবেষণা, উৎপাদন ও উৎকর্ষতার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। একই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে আমরা ধীরে ধীরে দেশকে শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে নিচ্ছি। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন,

তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়