আইনমন্ত্রী : মানবাধিকারের উন্নতি হওয়ায় র‌্যাব নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গি একাকার : স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যোগসাজস, দুর্গম হওয়ায় অভিযান চালানো কঠিন

পরের সংবাদ

খুশদিল তাণ্ডবে ঢাকাকে হারিয়ে কুমিল্লার হ্যাটট্রিক জয়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তিন হারে শুরু হয় চ্যাম্পিয়নদের বিপিএল যাত্রা। তবে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়ে এবার টানা তিন জয় তুলে নিয়েছে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। ৬ ম্যাচে এটি কুমিল্লার তৃতীয় জয়। পাঁচ ম্যাচে নাসির হোসেনের ঢাকা হেরেছে চারটিতেই। গতকাল টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা শুরুতে ধাক্কা খায়। কোনো রান করার আগেই তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন গত দুই ম্যাচে কুমিল্লার জয়ের নায়ক লিটন দাস। ইমরুল কায়েস, চার্লসের ইনিংসও বড় হতে দেননি নাসির ও মোহাম্মদ ইমরান। তবে রিজওয়ান টিকে থাকায় ক্রিজে এসেই হাত খুলে খেলার স্বাধীনতা পান আরেক পাকিস্তানি খুশদিল। রিজওয়ানের সঙ্গে ৩৬ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়ে ইনিংসের রং পাল্টে দেন এই বাঁহাতি। যেখানে রিজওয়ানের অবদান মাত্র ১২ বলে ১৫ রান। বাকিটা খুশদিলের তাণ্ডব। শেষ দিকে কয়েকটি সিঙ্গেলস। না হয় ১৫ বলেই হয়তো পঞ্চাশে পৌঁছে যেতেন খুশদিল শাহ। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চার-ছক্কার বৃষ্টিতে এবারের বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতক উপহার দিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এ পাকিস্তানি মিডল অর্ডার। ৬৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন খুশদিল শাহ।
৭ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৬৪ রানে সাজঘরে ফেরা খুশদিল শাহ পঞ্চাশ পূর্ণ করেন মাত্র ১৮ বলে। যা এবারের বিপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড। বিপিএলের এবারের আসরে খুশদিলের এটিই প্রথম ফিফটি। এর আগে পাঁচ ম্যাচে একবারই ব্যাটে ঝড় তুলতে পেরেছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে করেছিলেন ২৭ বলে অপরাজিত ৪৩ রান। ওই ইনিংসেও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। ওপেনার লিটন দাস শূন্য রানে ফিরলেও রিজওয়ানকে আউটই করা যায়নি। ফিফটি করেন ৪৫ বলে। এছাড়া ২৬ বলে ইমরুল কায়েস ৩৩ ও জনসন চার্লস ১৯ বলে ২০ রান করেছেন। খুশদিলের ব্যাটে চড়েই ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা। ঢাকার হয়ে একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ ইমরান ও সৌম্য সরকার।
লক্ষ্য ছিল ১৮৫ রানের। বড় রান তাড়ায় প্রথমেই ধাক্কা খায় ঢাকা। সৌম্য সরকার আর রবিন দাস-দুজনই ফেরেন শূন্য রানে। হাসান আলীর অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি সৌম্য কাট করতে গিয়ে সোজা ক্যাচ দেন পয়েন্টে থাকা ফিল্ডারের হাতে। বলটা জনসন চার্লসের তালুবন্দি হতে দেখার পর হতাশা ফুটে ওঠে চোখেমুখে। এমন নিরীহ বলটাকে বাউন্ডারিতে পাঠাতে তো পারলেনই না, উল্টো সে বলেই আউট!
নামের পাশে কোনো রান না নিয়ে ধীরপায়ে ক্রিজ ছাড়তে হয় সৌম্যকে। এবারের বিপিএলে এর আগের ৪ ইনিংসে সৌম্যর রান ১৬, ৬, ৪ ও ০। গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে আরো একটি ০ যোগ ( শূন্য রানে আউট) হলে সৌম্য সরকার নিজেই যেন সেটি মানতে পারছিলেন না। ব্যাটে মাথা ঠেকিয়ে নিচু হয়ে হয়তো ভাবছিলেন এ কী করলাম। সৌম্যর বিদায়ের পর আহমেদ শেহজাদ করেন ১৭ বলে ১৯।
মোহাম্মদ মিঠুন হাল ধরার চেষ্টা করলেও তার ৩৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটি ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। অধিনায়ক নাসির হোসেন চেষ্টা করেছেন, তবে সেটা দলের কাজে আসেনি। ম্যাচ জিততে শেষ ৫ ওভারে ৯২ রান দরকার পড়ে ঢাকার। ১৬ থেকে ১৯ ওভারে ৫৩ রান তোলেন নাসির ও আরিফুল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫১ রান তুলতে পারে ঢাকা।
৩৬ বল খেলে এবারের আসরে প্রথম অর্ধশতক পাওয়া নাসির করেন অপরাজিত ৬৬ রান। তার ৪৫ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছয় ছিল। ১৭ বলে ২৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন আরিফুল। কুমিল্লার হাসান-তানভীর ও মোসাদ্দেক ১টি করে উইকেট নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়