প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
গৌতম সরকার, কাউনিয়া (রংপুর) থেকে : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা মানাষ নদীতে পানি নেই। পানিশূন্য নদীতে এখন সবুজের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ, এ যেন সবুজের গালিচা।
সরজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশার রোদে মানাষ নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে সবুজ গালিচা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। স্থানীয় কৃষকরা তাদের আপন মহিমায় মনের মাধুরী মিশিয়ে ইরি-বোরো ধান চাষ করার জন্য বলা চলে মানাষ নদীজুড়েই ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন।
প্রতিবছর চারা বীজ সংকট দেখা দেয়, সেই সংকট মোকাবিলায় কৃষকরা এবার মানাষ নদীতে পানি না থাকায় চাহিদার চেয়ে বেশি বীজতলা তৈরি করেছেন। কৃষকরা আশা করছেন প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না এলে চলতি মৌসুমে ধানের চারার কোনো সংকট হবে না।
টেপামধুপুর লালমসজিদ এলাকার কৃষক মো. আমিন জানান, মানাষ নদীতে এবার খুব সহজেই বীজতলা তৈরি করা গেছে।
কৃষক শফিকুল জানান, নদীতে পানি কম থাকায় এবং কাদা থাকায় তেমন কোনো খরচ ছাড়াই বীজতলা তৈরি করা গেছে। বর্তমানে চারা বীজের অবস্থাও ভালো আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন বলেন, চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির বিপরীতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৯০ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৫১০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে মানাষ নদীতে চাষিরা বেশি বীজতলা করেছেন।
এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে সরকারি প্রণোদনা হিসেবে হাইব্রিড ধানের বীজ ২ কেজি করে ২ হাজার ৭০০ চাষি এবং উফশী ধানের বীজ ৫ কেজি করে ২ হাজার ৭০০ চাষিকে দেয়া হয়েছে। বীজতলা তৈরিতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত কুয়াশায় বীজতলা যেন নষ্ট না হয় সেজন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে চাষিদের। আশা করছি মাঠে যে পরিমাণ চারা বীজ আছে তাতে চারার সংকট হবে না।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।